বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম ইটের আঘাতে আহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ শিক্ষার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংঘর্ষ হয়। আহত ৩ শিক্ষার্থীকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কেটিং ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুক্রবার ফুটবল ম্যাচ ছিল। বিকেলে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সন্ধ্যার পর দুইপক্ষই দল ভারি করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।জানা গেছে, খেলা চলার সময়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মার্কেটিং বিভাগে ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালকে মারধর ও মাফ চাইতে বাধ্য করেন। এতে ক্ষুব্ধ মার্কেটিং বিভাগের সহপাঠীরা প্রতিবাদ জানালে তাদেরও মারধর করা হয়।এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যার পর মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ১ নম্বর গেটের সামনে এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিটাক ভবনের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম ঘটনাস্থলে যান। এসময়ে ছোঁড়া ইটের আঘাতে তিনি আহত হন। প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল ও সহকারী প্রক্টর আলমগীর হোসেন এবং দুই বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন।
আহত মার্কেটিং বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহম্মেদ জানান, আমরা গ্রুপে একটা মেসেজ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি আবদুল্লাহ আল ফয়সালকে মারধর করছে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদেরও ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই।একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মীমাংসায় বসার জন্য প্রস্তুত। তবে এ ঘটনায় তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, উভয়পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। কাল শনিবার দুইপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হবে।