বরগুনার আমতলী উপজেলার যুবলীগ নেতা আরিফ উল হাসান বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অবস্থায় কোর্ট পুলিশের বিছানায় বসে ভাত খাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনার সাবেক ডিবি ওসি ও বর্তমান আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমও উপস্থিত আছেন এবং তিনি অভিযুক্তের সঙ্গে একান্তে কথাও বলছেন।
ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর কোর্ট পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অনিয়ম এবং আসামির প্রতি অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন শিকদার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং যাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাদেরকে ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করেছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভিডিওতে দেখা যায়, আরিফ উল হাসানকে সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ভিডিওতে তার স্বজনরা পাশে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে পুলিশ অফিসাররা সর্তক রয়েছেন।