কুমিল্লার দেবিদ্বার সংসদীয় আসনে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ভোট ব্যাংকে হানা দিতে এবার মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি বিকল্প মিশন হাতে নিয়েছে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের মূল লক্ষ্য—সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলার সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সহিদকে বিজয়ী করা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সহিদ ছাত্রনেতা থেকে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার শীর্ষ সময়ে বিপুল ভোটে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবার সেই জনপ্রিয়তাকে সাংগঠনিক শক্তির সঙ্গে যুক্ত করে জামায়াত নির্বাচনী মাঠে চমক দেখানোর পরিকল্পনা করছে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সহিদের নির্বাচনী প্রচারণাকে ঘিরে জামায়াতের সব অঙ্গ সংগঠনকে ব্লক আকারে ভাগ করা হয়েছে। ছাত্রশিবির, শ্রমিক কল্যাণ, ওলামা দল, ব্যবসায়ী সংগঠন, ছাত্রী সংস্থা ও মহিলা সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মতবিনিময় করছেন। গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক, ওয়াজ নসিহত ও ইসলামিক সংগীতের মাধ্যমে তারা ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দেবিদ্বার আসনটি বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত হলেও বিএনপির অভ্যন্তরীণ ত্রিমুখী বিভক্তি এবং এনসিপির পৃথক তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে। এরই মধ্যে জামায়াতের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে এবং এলাকায় চমক দেখানোর মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দেবিদ্বার উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা মানুষের কাছে আমাদের আদর্শ তুলে ধরছি। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সব অঙ্গ সংগঠন মাঠে কাজ করছে।” উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, “আমরা আদর্শ ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করতে চাই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য দেবিদ্বার থেকে সাইফুল ইসলাম সহিদকে বিজয়ী করা।”
প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সহিদ বলেন, “দেবিদ্বারে আমাদের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। মানুষ চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে আমাদের ভোট ব্যাংকের তারল্য বাড়ছে। আশা করি আগামী নির্বাচনে আমরা চমক দেখাতে পারব।”