আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, তাহলে ইসলামের পক্ষে দেশে এক নীরব বিপ্লব ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
শনিবার সকালে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ঢাকা-৬ আসনের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আলেমদের ঐক্যের আভাসে পুরো জাতি খুশি হলেও একটি দল খুশি হয়নি। কারণ তারা জানে, ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে জনগণ তাদের রায় দেবে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ও লুটপাটকারীদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি অভিযোগ করেন, দুর্নীতিতে টানা পাঁচ বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল এবার ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই পাথর-বালু লুটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। “সারা দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কারা করছে জনগণ তা দেখছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জনগণ ভোটের মাধ্যমে বয়কট করবে,” বলেন তিনি।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আগামী নির্বাচনে সকল আলেম সমাজকে ইসলামী শক্তির বিজয়ের জন্য একত্রিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার এবং স্বৈরাচারের দোসরদের কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবিতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করা হবে, আলেমদের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং ইমামদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-৬ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ড. আব্দুল মান্নান তাঁর উন্নয়ন ভাবনা উপস্থাপন করেন। এছাড়া উপস্থিত আলেম-ওলামা মতামত ও পরামর্শ দেন।
এদিকে একই দিন সকালে মতিঝিলে এক হোটেলে ঢাকা-৮ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন স্থানীয় ইমাম-খতিব ও আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন আব্দুল্লাহ জাফরী এবং প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।