জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্তার পরিকল্পনা করতে নিউইয়র্কে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ নেতা নিঝুম মজুমদার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী মহলে ‘হারপিক মজুমদার’ নামে পরিচিত এই আওয়ামী বুদ্ধিজীবী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে নেতাকর্মী এনে জাতিসংঘের সামনে নাশকতার ছক আঁকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর দাবি, শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে থেকে ফোনে যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাদের ড. ইউনূসসহ সফরসঙ্গীদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন এবং অর্থায়ন করেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। জেকসন হাইটস, জামেইকা ও ম্যানহাটন এলাকায় একাধিক সমাবেশ ও হামলার ঘটনাও ঘটে।
২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিজেই নেতৃত্ব দেন নিঝুম মজুমদার। এই ঘটনার পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার। পরে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বাদী হয়ে মামলাও করেন এবং আলামত হিসেবে নিঝুম মজুমদারের নেতৃত্বে হামলার ভিডিও ফুটেজ জমা দেন।
২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ ভাষণের দিন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বিপুল সমাগমে পিছু হটতে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগ। ওইদিনের ঘটনায় নিজুম মজুমদার ও তার সহযোগীরা নাজেহাল হয়ে যায় বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। বর্তমানে মামলার আসামি হয়ে নিউইয়র্কে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নিঝুম মজুমদার।
দলীয় সূত্র জানায়, জাতিসংঘের সামনে মানবাধিকার বিষয়ক লিফলেট বিতরণের পরিকল্পনা থাকলেও হামলা ও মামলার পর তা ভেস্তে যায়। এদিকে নিজুম মজুমদার ভারতীয় সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে প্রায় দশ লাখ হিন্দু ভারতে পালিয়ে গেছে।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের অবস্থান চাপে পড়ে গেছে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।