এবার তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৩ লক্ষ (বাস্তবে ১৭ থেকে ২০ লাখ) রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই বাস্তবতায় সাম্প্রতিক সময়ের “মানবিক করিডোর” (Humanitarian Passage) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব জাতীয় স্বার্থ, নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকে গভীরভাবে মূল্যায়নযোগ্য।
বুধবার বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের বক্তব্য ও ব্যাখ্যাকে আমরা স্বাগত জানাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান বিলম্বে হলেও পরিষ্কার করবার জন্য। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২ টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ কেন্দ্রীয় অফিসে ‘চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডোর’ বিষয়ে সংবাদ সম্মলেনে এসব কথা বলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এবি পার্টি মনে করে, রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি আরাকান এখনো তাদের জন্য নিরাপদ নয়। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, আরাকান/রাখাইন রাজ্যে এখনো রোহিঙ্গারা সহিংসতা, বৈষম্য ও নাগরিক অধিকারহীনতার শিকার। এই পরিস্থিতিতে “মানবিক করিডোর” তৈরি করা হলে তা বাংলাদেশকে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের অংশ বানিয়ে ফেলবে, যেটা কোনভাবে গ্রহনযোগ্য হবে না।
“রোহিঙ্গা সংকট অথবা মানবিক করিডোর” রাজনৈতিক স্বার্থ নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। তাই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য দরকার। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনই একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান। এটিই বাংলাদেশের আলোচনার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এবি পার্টি মনে করে যে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা-এ প্রশ্নে কোনো বিদেশি চাপ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় খেলা কিংবা কৌশলগত চালচিত্র বরদাশত করা হবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের সংকটে মানবিক কিন্তু সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক সমাধান চাই। এবং সেই সমাধান হতে হবে-বাংলাদেশের নেতৃত্বে, বাংলাদেশ এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই, দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, আলতাফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ নোমান ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স। এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, আন্তর্জাতিক বিভাগের সদস্য হাজরা মাহজাবিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক, আমেনা বেগম, রাশেদা আক্তার মিতু, কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান মিলু, অ্যাডভোকেট শরণ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব জামিল সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।