চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান মোহাম্মদপুর থানার এসআই নাজমুল ইসলামের আবেদনের পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
অন্য আসামিরা হলেন আবু সুফিয়ান, আব্দুর রহমান ওরফে মানিক, হাবিবুর রহমান ফরহাদ ও শাহিন হোসেন।
মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রোববার রাতে যৌথ বাহিনী তাদের আটক করে। পরে ক্লিনিকের মালিক আফরুজা শিল্পী বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর রাতে শাহিন তার স্ত্রীর প্রসব করাতে ‘সেইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ আসেন। নবজাতক মৃত জন্ম নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে কোনো অর্থ নেননি। অভিযোগ আছে, ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে আসামিরা হাসপাতালে গিয়ে মামলা না করার বিনিময়ে তিন লাখ টাকা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা যন্ত্রপাতি ভাঙচুর, একজনকে তুলে নেওয়া ও হত্যার হুমকি দেয়। এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর বাকি টাকা দ্রুত দিতে বলা হয়।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামিরা পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকায় ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা নেয় এবং অবশিষ্ট টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে জানালে তারা অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করে।
এর আগে হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিকের বাসায় মধ্যরাতে ঢোকার চেষ্টা করে আটক হয়েছিলেন রাব্বিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।