ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“বিএনপি-জামায়াতই হবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী” — ড. মির্জা গালিব

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ড. মির্জা গালিব মনে করেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে ভিডিও কলে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জরিপ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব বেশি নেই। তার মতে, এবার জামায়াত অতীতের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় ভালো ফল করতে পারে।

ড. গালিব বলেন, “জনগণ পরিবর্তন চায়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম একটি ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক ধারা দেখতে আগ্রহী। তাই বিএনপি ও জামায়াতের কাছে মানুষের প্রত্যাশা হলো তারা যেন পুরোনো রাজনীতি না করে, বরং ভবিষ্যতের পরিবর্তনের জন্য স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করে।”

টক শোতে আলোচনায় উঠে আসে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের কূটনৈতিক তৎপরতার বিষয়টিও। জানা যায়, ৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা অন্তত ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০-এ।

ড. গালিবের মতে, এর পেছনে মূল কারণ হলো জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি। জামায়াত এখন একটি সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে আসছে। তিনি বলেন, “আগে জামায়াত কখনো শীর্ষ দুটি দলের মধ্যে ছিল না। কিন্তু এখনকার প্রেক্ষাপটে তারা বিএনপির সমানতালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, এমনকি নির্বাচনেও জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক দর্শন, ক্ষমতায় এলে কেমন নীতি অনুসরণ করবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কতটা প্র্যাগমেটিক হবে—এসব বিষয় নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

ড. মির্জা গালিবের ভাষায়, “আন্তর্জাতিক মহল বুঝতে চায় জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের অবস্থান কতটা বাস্তববাদী হবে। এই কারণেই কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে তাদের সঙ্গে আলোচনা বাড়ছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

“বিএনপি-জামায়াতই হবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী” — ড. মির্জা গালিব

আপডেট সময় ০৯:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ড. মির্জা গালিব মনে করেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে ভিডিও কলে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জরিপ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব বেশি নেই। তার মতে, এবার জামায়াত অতীতের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় ভালো ফল করতে পারে।

ড. গালিব বলেন, “জনগণ পরিবর্তন চায়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম একটি ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক ধারা দেখতে আগ্রহী। তাই বিএনপি ও জামায়াতের কাছে মানুষের প্রত্যাশা হলো তারা যেন পুরোনো রাজনীতি না করে, বরং ভবিষ্যতের পরিবর্তনের জন্য স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করে।”

টক শোতে আলোচনায় উঠে আসে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের কূটনৈতিক তৎপরতার বিষয়টিও। জানা যায়, ৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা অন্তত ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০-এ।

ড. গালিবের মতে, এর পেছনে মূল কারণ হলো জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি। জামায়াত এখন একটি সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে আসছে। তিনি বলেন, “আগে জামায়াত কখনো শীর্ষ দুটি দলের মধ্যে ছিল না। কিন্তু এখনকার প্রেক্ষাপটে তারা বিএনপির সমানতালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, এমনকি নির্বাচনেও জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক দর্শন, ক্ষমতায় এলে কেমন নীতি অনুসরণ করবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কতটা প্র্যাগমেটিক হবে—এসব বিষয় নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

ড. মির্জা গালিবের ভাষায়, “আন্তর্জাতিক মহল বুঝতে চায় জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের অবস্থান কতটা বাস্তববাদী হবে। এই কারণেই কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে তাদের সঙ্গে আলোচনা বাড়ছে।”