ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়াই একই বাড়িতে মা মেয়ের সংসার, মেয়েকে পরিকল্পিত হ ত্যা সংবাদ সম্মেলনে বললেন বাবা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রবাসীর মেয়ে খাদিজা খাতুন মিষ্টির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করে নন্দীগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৃত খাদিজা খাতুন মিষ্টির পিতা মুকুল হোসেন। আজ সোমবার তিনি  প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ সাত বছর আমি মালয়েশিয়ায় প্রবাস থাকায় আমার বড় মেয়ে মোছা: খাদিজা খাতুন মিষ্টির শশুর, ওমরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আব্দুল হান্নান আমার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়ায় জড়িত ছিল, আমি দেশে আসার পর হঠাৎ একদিন আমার বিবি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজির করে না পেয়ে থানাতে জিডি করলে প্রশাসন ফোন কল ট্যাগ করে আব্দুল হান্নান হুজুর (বিয়াই)কে ধরে তাকে উদ্ধার করে দেয়। এর কিছুদিন পরে আবারো বাড়ি থেকে চলে গিয়ে আমাকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে একদিন আমার মেয়ে ফোনে কান্নাকাটি করে জানান যে ঐ মাদ্রাসার মোশারফ হুজুর মার সাথে আমার শ্বশুরকে বিয়ে পড়ায়ে তাদের সম্পর্ক জায়েজ করেছে। এরপর থেকে আমার মেয়ের সংসারে অশান্তি শুরু হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়। এরপর আমার জামাই (মোঃ ফুরকান) বিদেশ থেকে আসলে তাদের সংসারে অশান্তি আরও বৃদ্ধি হয়। কারণ মা মেয়ে একই পরিবারে সংসার করাটা কঠিন। এবং আমার মেয়ে এগুলি অন্যায় মেনে নিতে না পারায় তারা সকলে মিলে পরিকল্পিতভাবে গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ইং রোজ শুক্রবার আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে বলে আমার বিশ্বাস এবং এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে ছড়ায় এবং তারা আমাকেও জানায়নি কিন্তু ঐ গ্রাম থেকে অপরিচিত নাম্বারে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি লাশ মাটিতে উত্তর শীতেন করে শোয়ানো। এবং আত্মহত্যা করার প্রাথমিক কোন সিমটমও পাওয়া যায় নাই। এবং লাশ দরিতে ঝুলে থাকতে এলাকার কেউ দেখে নাই ও এবং যে চিকন সুতলি তারা দেখাইছে এই দড়িতে আত্মহত্যা করা অসম্ভব। কারন আমার মেয়ের ওজন ৭৩ কেজি ছিল। এরপর পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। আমরা বাদী হই এবং আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ পোস্টমর্টেম এর পরে আমাদেরকে হস্তান্তর করে এবং আমরা তার দাফন কাফন সম্পন্ন করি। সুতরাং আমার মেয়ের এই অসাভাবিক মৃত্যুর সাথে জড়িত সকলের বিচারের দাবি আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে রাখলাম। যেহেতু আগেও ঐ মাদ্রাসায় এই পরকীয়ার বিচার বসেছিলো। কিন্তু ঐ এলাকার কিছু ব্যক্তির কারণে সঠিক বিচার হয়নি এবং ঐ মোশারফ হুজুর আমাকে মাদ্রাসার রুমে শাসাশাশিও করেছে। কিন্তু আমি মেয়ের সংসার নষ্ট হওয়ার ভয়ে কিছু বলিনি। তাই এখন যেন কেউ প্রভাব খাটিয়ে এই ময়না তদন্তের আসল রিপোর্ট নষ্ট করতে না পারে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই এবং ঐ রিপোর্ট আসলে এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের সঠিক বিচার পাবো বলে আমি পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আশাবাদী বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য পাঠ করেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়াই একই বাড়িতে মা মেয়ের সংসার, মেয়েকে পরিকল্পিত হ ত্যা সংবাদ সম্মেলনে বললেন বাবা

আপডেট সময় ১০:০০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রবাসীর মেয়ে খাদিজা খাতুন মিষ্টির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করে নন্দীগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৃত খাদিজা খাতুন মিষ্টির পিতা মুকুল হোসেন। আজ সোমবার তিনি  প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ সাত বছর আমি মালয়েশিয়ায় প্রবাস থাকায় আমার বড় মেয়ে মোছা: খাদিজা খাতুন মিষ্টির শশুর, ওমরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আব্দুল হান্নান আমার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়ায় জড়িত ছিল, আমি দেশে আসার পর হঠাৎ একদিন আমার বিবি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজির করে না পেয়ে থানাতে জিডি করলে প্রশাসন ফোন কল ট্যাগ করে আব্দুল হান্নান হুজুর (বিয়াই)কে ধরে তাকে উদ্ধার করে দেয়। এর কিছুদিন পরে আবারো বাড়ি থেকে চলে গিয়ে আমাকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে একদিন আমার মেয়ে ফোনে কান্নাকাটি করে জানান যে ঐ মাদ্রাসার মোশারফ হুজুর মার সাথে আমার শ্বশুরকে বিয়ে পড়ায়ে তাদের সম্পর্ক জায়েজ করেছে। এরপর থেকে আমার মেয়ের সংসারে অশান্তি শুরু হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়। এরপর আমার জামাই (মোঃ ফুরকান) বিদেশ থেকে আসলে তাদের সংসারে অশান্তি আরও বৃদ্ধি হয়। কারণ মা মেয়ে একই পরিবারে সংসার করাটা কঠিন। এবং আমার মেয়ে এগুলি অন্যায় মেনে নিতে না পারায় তারা সকলে মিলে পরিকল্পিতভাবে গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ইং রোজ শুক্রবার আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে বলে আমার বিশ্বাস এবং এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে ছড়ায় এবং তারা আমাকেও জানায়নি কিন্তু ঐ গ্রাম থেকে অপরিচিত নাম্বারে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি লাশ মাটিতে উত্তর শীতেন করে শোয়ানো। এবং আত্মহত্যা করার প্রাথমিক কোন সিমটমও পাওয়া যায় নাই। এবং লাশ দরিতে ঝুলে থাকতে এলাকার কেউ দেখে নাই ও এবং যে চিকন সুতলি তারা দেখাইছে এই দড়িতে আত্মহত্যা করা অসম্ভব। কারন আমার মেয়ের ওজন ৭৩ কেজি ছিল। এরপর পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। আমরা বাদী হই এবং আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ পোস্টমর্টেম এর পরে আমাদেরকে হস্তান্তর করে এবং আমরা তার দাফন কাফন সম্পন্ন করি। সুতরাং আমার মেয়ের এই অসাভাবিক মৃত্যুর সাথে জড়িত সকলের বিচারের দাবি আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে রাখলাম। যেহেতু আগেও ঐ মাদ্রাসায় এই পরকীয়ার বিচার বসেছিলো। কিন্তু ঐ এলাকার কিছু ব্যক্তির কারণে সঠিক বিচার হয়নি এবং ঐ মোশারফ হুজুর আমাকে মাদ্রাসার রুমে শাসাশাশিও করেছে। কিন্তু আমি মেয়ের সংসার নষ্ট হওয়ার ভয়ে কিছু বলিনি। তাই এখন যেন কেউ প্রভাব খাটিয়ে এই ময়না তদন্তের আসল রিপোর্ট নষ্ট করতে না পারে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই এবং ঐ রিপোর্ট আসলে এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের সঠিক বিচার পাবো বলে আমি পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আশাবাদী বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য পাঠ করেন।