ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাকা হয়নি ১ কিলোমিটার রাস্তা অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৮২ বার পড়া হয়েছে

 

মো সাব্বির হোসেন বিপ্লব
হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধি

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা আজও পাকা হয়নি। প্রায় ১ কিলোমিটার এ রাস্তাটি স্থানীয় মানুষের জন্য যেন এক অভিশাপ। বৃষ্টি হলেই হাঁটু-সমান কাদা, যাতায়াত করা যায় না পায়ে হেঁটে— যানবাহন তো দূরের কথা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি, শিক্ষা, এমনকি জরুরি চিকিৎসাসেবাও।

শনিবার (সকাল সাড়ে ১০টার দিকে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটাই গ্রামের মামুনের বাড়ি থেকে বাঁশমুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত পুরো রাস্তাই কাদায় ডুবে আছে। একদিকে কাদা, অন্যদিকে খানাখন্দ— তাতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“বর্ষা আসলেই বাড়ি থেকে বের হওয়া দুঃস্বপ্নের মতো। বাজারে যেতে পারি না, কাজে যেতে পারি না— আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না।”

রহিমা বিবি নামে এক গৃহকর্মী বলেন,
“আমার মেয়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে চাইলেও যেতে পারি না। কোনো গাড়ি আসে না। কখনো দ্বিগুণ ভাড়া দিলেও সময় মতো পৌঁছানো যায় না। আমরা কী অপরাধ করেছি যে আজও এই রাস্তাটা পাকা হলো না?”

আসাদ নামে এক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান,
“এই রাস্তা দিয়েই বাওনা, বাঁশমুড়ি স্কুলসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। বর্ষার দিনে কাদা জমে থাকে, পড়াশোনার ক্ষতি হয় ভয়াবহভাবে।”

অন্যদিকে কৃষক আমজাদ হোসেনের আক্ষেপ,
“ফসল উৎপাদন করলেও বাজারে নিতে পারি না। কাদা আর ভাড়ার ঝামেলায় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। লোকসান গুনে চলা ছাড়া উপায় নেই।”

এ বিষয়ে আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আল ইমরান জানান,
“আমরা বিষয়টি জানি। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাকা হয়নি ১ কিলোমিটার রাস্তা অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

আপডেট সময় ০৪:৪১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

 

মো সাব্বির হোসেন বিপ্লব
হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধি

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা আজও পাকা হয়নি। প্রায় ১ কিলোমিটার এ রাস্তাটি স্থানীয় মানুষের জন্য যেন এক অভিশাপ। বৃষ্টি হলেই হাঁটু-সমান কাদা, যাতায়াত করা যায় না পায়ে হেঁটে— যানবাহন তো দূরের কথা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি, শিক্ষা, এমনকি জরুরি চিকিৎসাসেবাও।

শনিবার (সকাল সাড়ে ১০টার দিকে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটাই গ্রামের মামুনের বাড়ি থেকে বাঁশমুড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত পুরো রাস্তাই কাদায় ডুবে আছে। একদিকে কাদা, অন্যদিকে খানাখন্দ— তাতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“বর্ষা আসলেই বাড়ি থেকে বের হওয়া দুঃস্বপ্নের মতো। বাজারে যেতে পারি না, কাজে যেতে পারি না— আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না।”

রহিমা বিবি নামে এক গৃহকর্মী বলেন,
“আমার মেয়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে চাইলেও যেতে পারি না। কোনো গাড়ি আসে না। কখনো দ্বিগুণ ভাড়া দিলেও সময় মতো পৌঁছানো যায় না। আমরা কী অপরাধ করেছি যে আজও এই রাস্তাটা পাকা হলো না?”

আসাদ নামে এক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান,
“এই রাস্তা দিয়েই বাওনা, বাঁশমুড়ি স্কুলসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। বর্ষার দিনে কাদা জমে থাকে, পড়াশোনার ক্ষতি হয় ভয়াবহভাবে।”

অন্যদিকে কৃষক আমজাদ হোসেনের আক্ষেপ,
“ফসল উৎপাদন করলেও বাজারে নিতে পারি না। কাদা আর ভাড়ার ঝামেলায় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। লোকসান গুনে চলা ছাড়া উপায় নেই।”

এ বিষয়ে আলীহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আল ইমরান জানান,
“আমরা বিষয়টি জানি। ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।”