ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি, প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রথমবারের মতো ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা ভারতে অবস্থান করছেন, অন্য নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে রয়েছেন।

সম্প্রতি ঘোষিত কমিটিতে ২০১ সদস্য রয়েছেন। কমিটিটি কেন্দ্রীয় সংসদের অনুমোদিত চিঠি এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত। যদিও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবু অনেক পদাধিকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পদ ঘোষণা করছেন। জবির ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস শিশির লিখেছেন, ‘সাংগঠনিক সম্পাদক’, আর আল আমিন হাওলাদার লিখেছেন, ‘যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’।

শাখা ছাত্রলীগের নেতারা জানান, ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে বংশালসহ তিনটি থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়েছে। সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী আসামি। এছাড়া ক্যাম্পাসে এবং আশপাশে ১২–১৩ নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৪২১ জন নেতাকর্মীর তালিকা দেওয়া হয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা ক্যাম্পাসে যেতে পারছি না। গেলেই মারধর করে পুলিশে দেওয়া হচ্ছে। তবু ২০১ সদস্য কমিটিতে অনেকেরই ছাত্রত্ব রয়েছে।’

এর আগে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি তা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উন্নীত হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের কামরাঙ্গীরচরসহ তিনটি থানার কমিটি পূর্নাঙ্গ করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।’

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এইচ এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা আছে। অবৈধ কর্মকাণ্ড বা সংঘর্ষের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি, প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

আপডেট সময় ০৯:২৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রথমবারের মতো ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা ভারতে অবস্থান করছেন, অন্য নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে রয়েছেন।

সম্প্রতি ঘোষিত কমিটিতে ২০১ সদস্য রয়েছেন। কমিটিটি কেন্দ্রীয় সংসদের অনুমোদিত চিঠি এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত। যদিও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবু অনেক পদাধিকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পদ ঘোষণা করছেন। জবির ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস শিশির লিখেছেন, ‘সাংগঠনিক সম্পাদক’, আর আল আমিন হাওলাদার লিখেছেন, ‘যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’।

শাখা ছাত্রলীগের নেতারা জানান, ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে বংশালসহ তিনটি থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়েছে। সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী আসামি। এছাড়া ক্যাম্পাসে এবং আশপাশে ১২–১৩ নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৪২১ জন নেতাকর্মীর তালিকা দেওয়া হয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা ক্যাম্পাসে যেতে পারছি না। গেলেই মারধর করে পুলিশে দেওয়া হচ্ছে। তবু ২০১ সদস্য কমিটিতে অনেকেরই ছাত্রত্ব রয়েছে।’

এর আগে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি তা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উন্নীত হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের কামরাঙ্গীরচরসহ তিনটি থানার কমিটি পূর্নাঙ্গ করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।’

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এইচ এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা আছে। অবৈধ কর্মকাণ্ড বা সংঘর্ষের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’