ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, জরিমানার টাকা নিয়ে লাপাত্তা তরুনদল সভাপতি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার ধামরাইয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সালিস-বৈঠকে নিষ্পত্তি করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা। এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আতাহার আলী (৬৫) কে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা নিয়ে ঘটেছে ভিন্ন চিত্র। জরিমানার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপিনএক নেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় ।

 

 

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চর ডাউটিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়৷

 

অভিযোগ উঠেছে সালিস-বৈঠকের জরিমানার টাকা নিয়ে লাপাত্তা ধামরাই উপজেলা বিএনপির তরুণ দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। তিনি উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ধামরাই উপজেলা জাতীয় পার্টির ( এরশাদ) সভাপতি আব্দুল মালেকের ছেলে।

 

 

জানা যায়, উপজেলার কালামপুর আমাতন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রতিবেশী আতাহার আলী ফাঁকা বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির তরুণ দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর মা গত শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর মনিরুজ্জামান মনিরের মধ্যস্থতায় রবিবার সালিশ বৈঠক বসে। এতে অভিযুক্ত আতাহার আলীকে গ্রাম্য সালিসি বৈঠকে জুরিবোর্ডের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানার টাকা মনিরুজ্জামান মনির রেখে দেন।এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

অভিযুক্ত আতাহার আলী জানান, জরিমানার তিন লাখ টাকা মনিরুজ্জামান মনির ও স্থানীয় মাতাবর আব্দুল হালিমের কাছে দুই লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে মিমাংসার যোগ্য কি না এ ব্যাপারে ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা একটি ধর্তব্য অপরাধ। নারী ও শিশু ট্রাইবোনালে বিচার যোগ্য। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেলে বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে।

 

 

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম নায়েবুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বাদীকে পাওয়া যায়নি। শুনেছি সালিস-বৈঠকে অভিযুক্তকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা স্থানীয়ভাবে আপসযোগ্য নয়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কত আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি, স্পষ্ট করলেন নাহিদ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, জরিমানার টাকা নিয়ে লাপাত্তা তরুনদল সভাপতি

আপডেট সময় ১০:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার ধামরাইয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সালিস-বৈঠকে নিষ্পত্তি করেছেন স্থানীয় মাতব্বররা। এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আতাহার আলী (৬৫) কে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা নিয়ে ঘটেছে ভিন্ন চিত্র। জরিমানার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপিনএক নেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় ।

 

 

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চর ডাউটিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়৷

 

অভিযোগ উঠেছে সালিস-বৈঠকের জরিমানার টাকা নিয়ে লাপাত্তা ধামরাই উপজেলা বিএনপির তরুণ দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। তিনি উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ধামরাই উপজেলা জাতীয় পার্টির ( এরশাদ) সভাপতি আব্দুল মালেকের ছেলে।

 

 

জানা যায়, উপজেলার কালামপুর আমাতন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রতিবেশী আতাহার আলী ফাঁকা বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির তরুণ দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর মা গত শুক্রবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর মনিরুজ্জামান মনিরের মধ্যস্থতায় রবিবার সালিশ বৈঠক বসে। এতে অভিযুক্ত আতাহার আলীকে গ্রাম্য সালিসি বৈঠকে জুরিবোর্ডের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানার টাকা মনিরুজ্জামান মনির রেখে দেন।এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

অভিযুক্ত আতাহার আলী জানান, জরিমানার তিন লাখ টাকা মনিরুজ্জামান মনির ও স্থানীয় মাতাবর আব্দুল হালিমের কাছে দুই লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।

 

 

এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে মিমাংসার যোগ্য কি না এ ব্যাপারে ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা একটি ধর্তব্য অপরাধ। নারী ও শিশু ট্রাইবোনালে বিচার যোগ্য। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেলে বিনা পরোয়ানায় অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে।

 

 

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম নায়েবুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বাদীকে পাওয়া যায়নি। শুনেছি সালিস-বৈঠকে অভিযুক্তকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা স্থানীয়ভাবে আপসযোগ্য নয়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।