জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশে ৪৬ নম্বর রাজনৈতিক দল হতে আসেনি উল্লেখ করে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এনসিপি হয় জনগণের হয়ে সরকারে থাকবে, না হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর–দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা শাখার সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হতে আসিনি। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকতে হবে।”
তিনি জানান, শনিবার থেকেই জেলা ও মহানগর পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা শুরু হবে। তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কমিটি গঠনের মানদণ্ড সম্পর্কে সারজিস আলম বলেন, “বাংলামোটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে কোনো কমিটি দেওয়া যাবে না। প্রতিটি থানায় গিয়ে সমন্বয় সভা করে স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করতে হবে। আহ্বায়ক হতে হবে চল্লিশোর্ধ্ব এবং সদস্যসচিব কোনোভাবেই ৩৫ বছরের নিচে হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান–পূর্ব সময়ে আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গসংগঠনের কোনো পদে ছিলেন—এমন কেউ এনসিপির আহ্বায়ক কমিটিতে থাকতে পারবেন না। নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত কাউকেও রাখা যাবে না।”
অন্যান্য দলের যোগ্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “সব ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা। তবে কেউ যদি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে বা সুযোগসন্ধানী মানসিকতা নিয়ে আসেন, তারা আগের জায়গায় ফিরে যান বা এনসিপি থেকে দূরে থাকুন।”

























