ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর রহমান চৌধুরী অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান ভারতকে এই জাতির মূল শত্রু বলে উল্লেখ করেছেন। ‘জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা: বাংলাদেশের নিরাপদ ভবিষ্যৎ গঠনে দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস (এনডিজে)।
স্বাগত বক্তব্যে হাসিনুর রহমান বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদদেরও নিয়ন্ত্রণ করেছে।” তিনি আরও দাবি করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ভারত ও তাদের দোসররা পরাজিত হয়েছে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে।
তিনি বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতিগত ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
একই সেমিনারে জুলাই অভ্যুত্থনে আহত এক শিক্ষক বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে জীবন বাজি রেখে অংশ নিয়েছি। এখন সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হচ্ছেন জুলাই যোদ্ধারা।” তিনি আহতদের সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও আইনি সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু দাবির কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, “বিগত সরকার দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা কাজ করছেন।”
প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “গত ১৫ বছরে সরকার কাউকে সৎ থাকতে দেয়নি। তারা নিজে অসৎ ছিল এবং জাতিকেও সেই পথে চালিত করেছে। ভারত আমাদের বন্ধু ছিল না, এখনও না, ভবিষ্যতেও হবে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিল, কিন্তু তারা মূলত পাকিস্তানকে বিভক্ত করতেই তা করেছিল, বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতায় তাদের আগ্রহ ছিল না।”