ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে, তাদের অনেক নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত, এবং এই ঐক্য নষ্টের জন্য এনসিপিই দায়ী।”
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপির উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে আবেগে ভেসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে ডিলেট করেন এবং ক্ষমা চান। হাদীর ভাষায়, “আপনি যদি আবেগী হন তাহলে নাটক করেন, আর্ট করেন। আপনাকে উপদেষ্টা হতে কে বলেছে?”
হাদী বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র না হলে শহীদ পরিবারসহ আন্দোলনের শরিকরা ভারত ও আওয়ামী লীগের আক্রমণের শিকার হবে। তবে ঘোষণাপত্র প্রকাশ হলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং তা হবে সরকারের ভেতরে থাকা আওয়ামী লীগপন্থীদের নৈতিক ও রাজনৈতিক পরাজয়।”
সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে রাজনৈতিক বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, “আপনি সেনাপ্রধান হয়ে এমন রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে পারেন না। মনে হচ্ছে সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেই দল ক্ষমতায় আসুক, আগে সেনাবাহিনীকে কিছু বলতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারে থাকা কিছু ব্যক্তি ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে এবং ড. ইউনূসের পরিচয় ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। বিএনপির দিকেও প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি, “আপনারা কেন জুলাইয়ের রাজনীতি করলেন না? আপনারা বলুন—জুলাই ঘোষণাপত্র চাই, না হলে ঢাকা অচল হবে।”
হাদী দাবি করেন, সরকারে একজন ব্যক্তি স্যুটকেস গুছিয়ে বসে আছেন, যিনি অপেক্ষা করছেন ড. ইউনূস পদত্যাগ করলেই তিনি প্রধান উপদেষ্টা হবেন। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে তিনি বর্তমান সরকার পুনর্গঠন করে একটি জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানান।