পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের কালীবাড়ি মহল্লায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রথমে ২০ হাজার এবং পরে আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম আরিফের স্ত্রী মাকসুদা পারভীন মুন গত মঙ্গলবার (২০ মে) ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযুক্তরা হলেন: ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলিমুদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন, আকতার হোসেন এবং সরপু আলী। তারা সবাই একই পৌরসভার বাসিন্দা।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত ৫ মে আরিফকে হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন, যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন সরাসরি আরিফের দোকানে গিয়ে গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে বলে দাবি করেন মাকসুদা পারভীন।
পরে গত ১৯ মে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়, আর তাতে সাড়া না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিযুক্ত মানিক হোসেন। তিনি দাবি করেন, আরিফ তার চাচা এবং পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৌরসভা থেকে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। আপস-মীমাংসার জন্য কিছু বাজার করে দেওয়ার অনুরোধে আরিফ তাকে ১০ হাজার টাকা দেন, সেটিকেই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
মানিকের ভাষায়, “এটি বিএনপি নেতাদের ফাঁসাতে সাজানো নাটক। আমি সবকিছু রফিকুল ও মোতালেব ভাইকে জানিয়েছি।”
পুলিশ বলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।