ঢাকা ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে বিএনপির ১২ কর্মীর বাড়িতে হামলা, লুটপাটে ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫১৫ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে অন্তত ১২ নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, হামলায় বিএনপির দুই পক্ষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরাও জড়িত ছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রাশিদুল ইসলাম এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাসের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকে। সম্প্রতি বকুল বিশ্বাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠতা দেখা দিলে দুই পক্ষের সংঘাত চরমে ওঠে।

১ নভেম্বর কালোয়া বাজারে প্রথম দফায় সংঘর্ষে রাশিদুলপক্ষের জিয়ার শেখ ও বিপুল শেখ আহত হন। পরে পাল্টাপাল্টি এজাহার দায়ের হলেও পুলিশ একটির তদন্ত শেষ না করেই অন্যটি নথিভুক্ত করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার সন্ধ্যায় বকুলপক্ষ ও আওয়ামী লীগের সহযোগীরা রাশিদুলের অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় যুবদল নেতা সালমান এফ রহমান, রাশিদুল ইসলামসহ অন্তত ১২টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে।

সালমানের মা শেফালী খাতুন বলেন, “মাসখানেক ধরে ছেলে বাড়িছাড়া। শুক্রবার ইয়ারুল, সোহেল, মাসুমসহ অনেকে সশস্ত্র হয়ে এসে ঘরের জানালা-দরজা ভেঙে টাকা ও গরু লুট করেছে।”

বিএনপি নেতা রাশিদুল ইসলাম বলেন, “বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ১২টি বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এতে আমাদের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে বকুল বিশ্বাস বলেন, “রাশিদুল ও সালমান পদ্মায় চাঁদাবাজি করে এলাকায় অশান্তি করছে। তারা আগে হামলা চালায়, পরে আমার লোকজন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ধাওয়া দেয়।”

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, “পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত চলছে, নতুন মামলাও নথিভুক্ত করা হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা হিন্দুস্তান টাইমসে: গণঅভ্যুত্থান সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুল হয়েছে, ভোট বর্জনের আহ্বান দিইনি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে বিএনপির ১২ কর্মীর বাড়িতে হামলা, লুটপাটে ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা

আপডেট সময় ১০:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে অন্তত ১২ নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, হামলায় বিএনপির দুই পক্ষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরাও জড়িত ছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রাশিদুল ইসলাম এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাসের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকে। সম্প্রতি বকুল বিশ্বাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠতা দেখা দিলে দুই পক্ষের সংঘাত চরমে ওঠে।

১ নভেম্বর কালোয়া বাজারে প্রথম দফায় সংঘর্ষে রাশিদুলপক্ষের জিয়ার শেখ ও বিপুল শেখ আহত হন। পরে পাল্টাপাল্টি এজাহার দায়ের হলেও পুলিশ একটির তদন্ত শেষ না করেই অন্যটি নথিভুক্ত করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার সন্ধ্যায় বকুলপক্ষ ও আওয়ামী লীগের সহযোগীরা রাশিদুলের অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় যুবদল নেতা সালমান এফ রহমান, রাশিদুল ইসলামসহ অন্তত ১২টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে।

সালমানের মা শেফালী খাতুন বলেন, “মাসখানেক ধরে ছেলে বাড়িছাড়া। শুক্রবার ইয়ারুল, সোহেল, মাসুমসহ অনেকে সশস্ত্র হয়ে এসে ঘরের জানালা-দরজা ভেঙে টাকা ও গরু লুট করেছে।”

বিএনপি নেতা রাশিদুল ইসলাম বলেন, “বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ১২টি বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এতে আমাদের প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে বকুল বিশ্বাস বলেন, “রাশিদুল ও সালমান পদ্মায় চাঁদাবাজি করে এলাকায় অশান্তি করছে। তারা আগে হামলা চালায়, পরে আমার লোকজন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ধাওয়া দেয়।”

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, “পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত চলছে, নতুন মামলাও নথিভুক্ত করা হবে।”