ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছেন”—প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছে। তার মানে দেশের সবাই টেররিস্ট। সবাইকে হত্যা করে উনি ক্ষমতায় আসবেন।”

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুল আলম বলেন, “আমার মনে হয় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নিয়ে এখন সব রাজনৈতিক দলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সবাই কাজ করছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।”

প্রেসসচিব আরও বলেন, “মানুষ সুশাসন চায়, তবে সংস্কারের বিষয়টি রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কার নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আলোচনা চলে। আমাদের দেশেও নির্বাচনের পর পুনরায় সংলাপ হতে পারে। নেপালে এমন সংস্কার করতে ৯ বছর লেগেছিল।”

জুলাই সনদ নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “যারা বলছেন জুলাই সনদে নারী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নেই, তাদের মনে রাখা উচিত—রাজনৈতিক দলগুলো সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব করে। সব কিছুই সনদে অন্তর্ভুক্ত আছে।”

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “পরবর্তী সরকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন কর্মসংস্থানের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

“শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছেন”—প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম

আপডেট সময় ১০:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছে। তার মানে দেশের সবাই টেররিস্ট। সবাইকে হত্যা করে উনি ক্ষমতায় আসবেন।”

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুল আলম বলেন, “আমার মনে হয় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নিয়ে এখন সব রাজনৈতিক দলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সবাই কাজ করছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।”

প্রেসসচিব আরও বলেন, “মানুষ সুশাসন চায়, তবে সংস্কারের বিষয়টি রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কার নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আলোচনা চলে। আমাদের দেশেও নির্বাচনের পর পুনরায় সংলাপ হতে পারে। নেপালে এমন সংস্কার করতে ৯ বছর লেগেছিল।”

জুলাই সনদ নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “যারা বলছেন জুলাই সনদে নারী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নেই, তাদের মনে রাখা উচিত—রাজনৈতিক দলগুলো সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব করে। সব কিছুই সনদে অন্তর্ভুক্ত আছে।”

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “পরবর্তী সরকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন কর্মসংস্থানের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে।”