ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধানের শীষ না দাঁড়িপাল্লা, সিদ্ধান্ত আপনাদের’ — ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের শেষ নির্বাচনী আহ্বান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২৩ বার পড়া হয়েছে

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।”

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “খোঁজ নেন কারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে সহযোগিতা করে দেশের মানুষ মেরেছে, গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে। এবারের নির্বাচন আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। তাই ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাই। আমরা দেশটাকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসব।”

তিনি বলেন, “দেশের সংকটগুলো আসলে নাটক। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। কেউ কেউ বলছে নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে, কিন্তু আমরা বলেছি গণভোট হবে নির্বাচনের দিনেই। সাধারণ মানুষ গণভোট বা সনদ এসব বোঝে না—এগুলো কিছু শিক্ষিত মানুষ বাইরে থেকে চাপিয়ে দিচ্ছে।”

নিজের জন্য ভোট প্রার্থনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব—এটাই গণতন্ত্র। বর্তমান সরকার জনগণের নয়, তারা জনগণের কষ্ট বোঝে না।”

তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ন্যায্য দামে ধান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হবে এবং পরিবারভিত্তিক ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে।

বড় খোচাবাড়ী এলাকায় আরেক সভায় বক্তৃতার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার পর নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, “কিছু হয়নি, আমি ভালো আছি।” এরপর বসে থেকেই বক্তব্য শেষ করেন।

তিনি আরও বলেন, “আমি ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন করছি—কখনো হেরেছি, কখনো জিতেছি। কিন্তু আপনাদের ছেড়ে কখনো যাইনি। গত ১৫ বছর কোনো নির্বাচন করতে পারিনি। এবার আপনাদের লোককে ভোট দিন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “হাসিনার মনে দরদ নাই। দরদ থাকলে দলের কর্মীদের ছেড়ে পালাতো না, তাদের অসহায় করে রাখত না।”

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। ২০২৪ সালেও আন্দোলনে গণহত্যা হয়েছে—দুটোই গণহত্যা। এবার চব্বিশে শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়েছে।”

শেষে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি সকলের কাছে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চান এবং আমৃত্যু মানুষের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

হিরো আলমের রাজনীতিতে নতুন চমক: গণ অধিকার পরিষদ থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা

ধানের শীষ না দাঁড়িপাল্লা, সিদ্ধান্ত আপনাদের’ — ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের শেষ নির্বাচনী আহ্বান

আপডেট সময় ০৬:৪০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।”

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “খোঁজ নেন কারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে সহযোগিতা করে দেশের মানুষ মেরেছে, গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে। এবারের নির্বাচন আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। তাই ধানের শীষ মার্কায় ভোট চাই। আমরা দেশটাকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসব।”

তিনি বলেন, “দেশের সংকটগুলো আসলে নাটক। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। কেউ কেউ বলছে নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে, কিন্তু আমরা বলেছি গণভোট হবে নির্বাচনের দিনেই। সাধারণ মানুষ গণভোট বা সনদ এসব বোঝে না—এগুলো কিছু শিক্ষিত মানুষ বাইরে থেকে চাপিয়ে দিচ্ছে।”

নিজের জন্য ভোট প্রার্থনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব—এটাই গণতন্ত্র। বর্তমান সরকার জনগণের নয়, তারা জনগণের কষ্ট বোঝে না।”

তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ন্যায্য দামে ধান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হবে এবং পরিবারভিত্তিক ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে।

বড় খোচাবাড়ী এলাকায় আরেক সভায় বক্তৃতার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল। কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার পর নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, “কিছু হয়নি, আমি ভালো আছি।” এরপর বসে থেকেই বক্তব্য শেষ করেন।

তিনি আরও বলেন, “আমি ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন করছি—কখনো হেরেছি, কখনো জিতেছি। কিন্তু আপনাদের ছেড়ে কখনো যাইনি। গত ১৫ বছর কোনো নির্বাচন করতে পারিনি। এবার আপনাদের লোককে ভোট দিন।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “হাসিনার মনে দরদ নাই। দরদ থাকলে দলের কর্মীদের ছেড়ে পালাতো না, তাদের অসহায় করে রাখত না।”

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। ২০২৪ সালেও আন্দোলনে গণহত্যা হয়েছে—দুটোই গণহত্যা। এবার চব্বিশে শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়েছে।”

শেষে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি সকলের কাছে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চান এবং আমৃত্যু মানুষের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।