ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে আওয়ামী লীগের পুড়ে যাওয়া অফিসে বিএনপির সাইনবোর্ড, উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি

নাটোরের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ বাজারে আওয়ামী লীগের একটি পুরনো অফিসে এখন টাঙানো হয়েছে ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ সাইনবোর্ড। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলটি ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলের গড়া শহিদ কল্লোল স্মৃতি সংঘের কার্যালয়। যদিও এটি ব্যবহার করতেন নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নীলুফার ইয়াসমিন ডালু। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আগুনে কার্যালয়টি পুড়ে যায়। পরবর্তীতে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪নং নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ ঘোষণা করেন।

বিএনপির দাবি, জায়গাটি তাদের নেতা আসাব সরকারের মালিকানাধীন। বিএনপি নেতা সাজদার রহমান জানান, আগের দখলদারিত্ব অবসানের পর তারা নিজের জায়গায় অফিস প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতা বলেন, “এভাবে কার্যালয় দখল অনভিপ্রেত, কিন্তু কিছু বললে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আছে।”

তবে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কেউ এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না”—ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

নাটোরে আওয়ামী লীগের পুড়ে যাওয়া অফিসে বিএনপির সাইনবোর্ড, উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ বাজারে আওয়ামী লীগের একটি পুরনো অফিসে এখন টাঙানো হয়েছে ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ সাইনবোর্ড। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলটি ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলের গড়া শহিদ কল্লোল স্মৃতি সংঘের কার্যালয়। যদিও এটি ব্যবহার করতেন নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নীলুফার ইয়াসমিন ডালু। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আগুনে কার্যালয়টি পুড়ে যায়। পরবর্তীতে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪নং নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ ঘোষণা করেন।

বিএনপির দাবি, জায়গাটি তাদের নেতা আসাব সরকারের মালিকানাধীন। বিএনপি নেতা সাজদার রহমান জানান, আগের দখলদারিত্ব অবসানের পর তারা নিজের জায়গায় অফিস প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতা বলেন, “এভাবে কার্যালয় দখল অনভিপ্রেত, কিন্তু কিছু বললে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আছে।”

তবে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কেউ এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।