আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আদালত এলাকার আশপাশে বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক মাইকিং শোনা গেছে। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা শিশু হারিয়ে গেলে যেভাবে মাইকিং করা হয়, তার অনুকরণে কিছু ব্যক্তি ‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ ধরনের ব্যঙ্গাত্মক ঘোষণা দিতে থাকেন। এতে রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রায়ের দিন সকাল থেকেই আদালত এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা চলমান মামলার রায় ঘোষণার অপেক্ষায় অবস্থান নেন। রায়কে ঘিরে সম্ভাব্য নাশকতা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য ইউনিট।
সকাল থেকে রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি গণপরিবহণও চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন কর্মসূচি’র কোনো প্রভাব সকাল ১০টা পর্যন্ত শহরে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামিক দল জানিয়েছে—তারা কর্মসূচির দিন মাঠে থাকবে।
ট্রাইব্যুনালের সামনে অপেক্ষারত মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে পুরো এলাকা সকাল থেকেই ছিল নিয়ন্ত্রণে।


























