জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন মামলার সাক্ষীরা। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের আগে সাক্ষীরা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, তিনি গণহত্যার সরাসরি দৃশ্য দেখেছেন এবং সব শহীদ ও আহতদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি বাংলাদেশের পক্ষে।”
আরেক সাক্ষী, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলাম। আজ এসেছি যাতে আন্দোলনে আহত আমার ভাইয়েরা ইনসাফ পায়।”
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে হাসিনা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত দমনপীড়ন চালানোর সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ২৫ হাজার আহত হয়েছেন।
প্রধান অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য, যেখানে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
- হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা ও নির্মূলের নির্দেশ।
- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যার ঘটনা।
- ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ।
- আশুলিয়ায় ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে গুলি করে ছাত্রদের হত্যা ও লাশ দাহের ঘটনা।
আদালতে সাক্ষীরা দাবি করেছেন, আদেশে ক্ষান্ত না হয়ে, এই ঘটনার দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


























