ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত খুনি হাসিনাকে না দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না: এনসিপি নেতা সারজিস আলম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর ভারত ইস্যুতে কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম

সোমবার (১৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন—
“ভারত যতদিন না মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়ে রায় কার্যকর করতে সহযোগিতা করবে, ততদিন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।”

এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে দুইটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক এবং ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

রায় ঘোষণার দিন কারাগারে থাকা মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি মামুনকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন—
শেখ হাসিনাকে দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি পাঠানো হবে।

তিনি বলেন,
“ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে—এটি বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও নিন্দনীয় আচরণ।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার এ রায়কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত খুনি হাসিনাকে না দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না: এনসিপি নেতা সারজিস আলম

আপডেট সময় ০৪:৪২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর ভারত ইস্যুতে কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম

সোমবার (১৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন—
“ভারত যতদিন না মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়ে রায় কার্যকর করতে সহযোগিতা করবে, ততদিন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।”

এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে দুইটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক এবং ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

রায় ঘোষণার দিন কারাগারে থাকা মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি মামুনকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন—
শেখ হাসিনাকে দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি পাঠানো হবে।

তিনি বলেন,
“ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে—এটি বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও নিন্দনীয় আচরণ।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার এ রায়কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।