ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগ, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু হেনা মোরসালিনের বিরুদ্ধে সর্বশেষ নবী ও মানবতার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার তিনি নিজের ফেসবুকে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে মন্তব্য করেন, যা মুহূর্তেই সমালোচনার ঝড় তোলে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন।

এরপর আরেক পোস্টে তিনি ক্ষমা চেয়ে দাবি করেন, তিনি কোনো কটূক্তি করতে চাননি বরং নবীজির উত্তম আখলাককে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি লেখেন, “তবুও আমার কথায় যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি… আল্লাহ আমাকে হেদায়েত নসীব করুন।” তার এই ব্যাখ্যায় ‘তবুও, যদি’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৈমুর মুবিন বলেন, মোরসালিনের ব্যাখায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি ভুল পুরোপুরি স্বীকার করেননি, বরং শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা চেয়েছেন।

জবি শিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “রাসুল (সা.) আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়। তাকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে কোনো মুসলিম চুপ থাকতে পারে না। দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন এক ফেসবুক পোস্টে মোরসালিনের ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগত জানালেও স্পষ্টভাবে বলেন, “রাসুল (সা.) সম্পর্কে কোনো অশোভন বা শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষা ছাত্রদল গ্রহণ করে না।” তিনি আরও সতর্ক করে দেন, ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীল না হলে সংগঠনে থাকার সুযোগ হারাতে হবে।

ঘটনাটি ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তাপ বিরাজ করছে এবং শৃঙ্খলাপরাধের অভিযোগে ছাত্রদলের অভ্যন্তরেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগ, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

আপডেট সময় ০৮:২০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু হেনা মোরসালিনের বিরুদ্ধে সর্বশেষ নবী ও মানবতার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার তিনি নিজের ফেসবুকে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে মন্তব্য করেন, যা মুহূর্তেই সমালোচনার ঝড় তোলে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন।

এরপর আরেক পোস্টে তিনি ক্ষমা চেয়ে দাবি করেন, তিনি কোনো কটূক্তি করতে চাননি বরং নবীজির উত্তম আখলাককে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি লেখেন, “তবুও আমার কথায় যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি… আল্লাহ আমাকে হেদায়েত নসীব করুন।” তার এই ব্যাখ্যায় ‘তবুও, যদি’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৈমুর মুবিন বলেন, মোরসালিনের ব্যাখায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি ভুল পুরোপুরি স্বীকার করেননি, বরং শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা চেয়েছেন।

জবি শিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “রাসুল (সা.) আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়। তাকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে কোনো মুসলিম চুপ থাকতে পারে না। দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন এক ফেসবুক পোস্টে মোরসালিনের ক্ষমা চাওয়াকে স্বাগত জানালেও স্পষ্টভাবে বলেন, “রাসুল (সা.) সম্পর্কে কোনো অশোভন বা শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষা ছাত্রদল গ্রহণ করে না।” তিনি আরও সতর্ক করে দেন, ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীল না হলে সংগঠনে থাকার সুযোগ হারাতে হবে।

ঘটনাটি ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তাপ বিরাজ করছে এবং শৃঙ্খলাপরাধের অভিযোগে ছাত্রদলের অভ্যন্তরেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।