ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাঈদীর আবেগাপ্লুত বক্তব্য: ‘আখেরাতের আদালতে আমি বাদী হবো, আল্লাহ হবেন বিচারক’

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

 

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার আগে বিচারকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে আল্লাহর নামে শপথ করেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রহ.)। তিনি বলেন,
“মাননীয় আদালত, আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী—৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের অতি পরিচিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আল্লাহ সাক্ষী—তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীনের রচিত দেলোয়ার শিকদার আমি নই।”

তিনি অভিযোগ করেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন তার বিরুদ্ধে “২০টি জঘন্য মিথ্যা অভিযোগ” সাজিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন।

সাঈদী বলেন,
“যার অন্তরে আল্লাহর ভয় ও পরকালের জবাবদিহিতার বিশ্বাস আছে, সে কখনো শুধু রাজনৈতিক বিদ্বেষ থেকে আরেক মুসলমানের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারে না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দুই জায়গায় শেষ হবে—একটি দুনিয়ার আদালতে, আরেকটি আখেরাতের আদালতে।
“আখেরাতের আদালতের আগেই আল্লাহ যদি চান, আমার ওপর করা মিথ্যাচারের বিচার এই দুনিয়ার আদালতেই হতে পারে।”

নিজেকে ‘অসহায় নির্দোষ আসামি’ উল্লেখ করে সাঈদী বিচারকদের উদ্দেশে বলেন,
“আপনারা আজ বিচারক, আর আমি আসামি। কিন্তু কিয়ামতের দিন আপনারাই হবেন আসামি, আর আমি হবো বাদী।”

তিনি ঘোষণা করেন,
“ইনশাআল্লাহ, সেদিন আমার দায়ের করা মামলার বিচারক হবেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ—সমস্ত বিচারকের বিচারক।”

কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে সাঈদী বলেন, আল্লাহ নিজেই বলেছেন তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক এবং অন্যায়ের প্রতিশোধ অবশ্যই নেবেন।

কোরআন স্পর্শ করে শপথ নিয়ে তিনি বলেন,
“আমার নামে যত অভিযোগ আনা হয়েছে, তার হাজার কোটি মাইলের মধ্যেও আমার অবস্থান ছিল না। এ অভিযোগগুলোর কোনোটি সত্য নয়—একটাও নয়।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচারকরা রাজনৈতিক চাপ ও আদেশ-নির্দেশের ঊর্ধ্বে উঠে সত্য বিবেচনা করে ন্যায়বিচার করবেন।

তার প্রতি যারা মিথ্যা অপবাদ, কষ্ট ও মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে—তাদের জন্য তিনি দোয়া করেন,
“আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। আর যদি হেদায়েত নসিবে না থাকে, তাহলে আমার ও আমার প্রিয়জনদের অশ্রুর প্রতিটি ফোঁটার প্রতিশোধ যেন আল্লাহ ন্যায্য বিচার দিয়ে নেন।”

শেষে তিনি বলেন,
“মিথ্যাবাদী ও জালিমদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। আর জাহান্নাম হোক তাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা।”


জনপ্রিয় সংবাদ

সাঈদীর আবেগাপ্লুত বক্তব্য: ‘আখেরাতের আদালতে আমি বাদী হবো, আল্লাহ হবেন বিচারক’

আপডেট সময় ১০:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

 

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার আগে বিচারকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে আল্লাহর নামে শপথ করেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রহ.)। তিনি বলেন,
“মাননীয় আদালত, আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী—৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের অতি পরিচিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আল্লাহ সাক্ষী—তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীনের রচিত দেলোয়ার শিকদার আমি নই।”

তিনি অভিযোগ করেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন তার বিরুদ্ধে “২০টি জঘন্য মিথ্যা অভিযোগ” সাজিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন।

সাঈদী বলেন,
“যার অন্তরে আল্লাহর ভয় ও পরকালের জবাবদিহিতার বিশ্বাস আছে, সে কখনো শুধু রাজনৈতিক বিদ্বেষ থেকে আরেক মুসলমানের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারে না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দুই জায়গায় শেষ হবে—একটি দুনিয়ার আদালতে, আরেকটি আখেরাতের আদালতে।
“আখেরাতের আদালতের আগেই আল্লাহ যদি চান, আমার ওপর করা মিথ্যাচারের বিচার এই দুনিয়ার আদালতেই হতে পারে।”

নিজেকে ‘অসহায় নির্দোষ আসামি’ উল্লেখ করে সাঈদী বিচারকদের উদ্দেশে বলেন,
“আপনারা আজ বিচারক, আর আমি আসামি। কিন্তু কিয়ামতের দিন আপনারাই হবেন আসামি, আর আমি হবো বাদী।”

তিনি ঘোষণা করেন,
“ইনশাআল্লাহ, সেদিন আমার দায়ের করা মামলার বিচারক হবেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ—সমস্ত বিচারকের বিচারক।”

কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে সাঈদী বলেন, আল্লাহ নিজেই বলেছেন তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক এবং অন্যায়ের প্রতিশোধ অবশ্যই নেবেন।

কোরআন স্পর্শ করে শপথ নিয়ে তিনি বলেন,
“আমার নামে যত অভিযোগ আনা হয়েছে, তার হাজার কোটি মাইলের মধ্যেও আমার অবস্থান ছিল না। এ অভিযোগগুলোর কোনোটি সত্য নয়—একটাও নয়।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচারকরা রাজনৈতিক চাপ ও আদেশ-নির্দেশের ঊর্ধ্বে উঠে সত্য বিবেচনা করে ন্যায়বিচার করবেন।

তার প্রতি যারা মিথ্যা অপবাদ, কষ্ট ও মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে—তাদের জন্য তিনি দোয়া করেন,
“আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। আর যদি হেদায়েত নসিবে না থাকে, তাহলে আমার ও আমার প্রিয়জনদের অশ্রুর প্রতিটি ফোঁটার প্রতিশোধ যেন আল্লাহ ন্যায্য বিচার দিয়ে নেন।”

শেষে তিনি বলেন,
“মিথ্যাবাদী ও জালিমদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। আর জাহান্নাম হোক তাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা।”