ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“বহুমাত্রিক চমক নিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে জামায়াত: তরুণ, নারী, সংখ্যালঘু ও পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত এক বছর ধরে সব আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ছিলেন নতুন মুখ এবং তরুণ নেতৃত্ব। ঘোষণার পরই সংশ্লিষ্ট এলাকায় তারা গণসংযোগ ও প্রচার চালিয়ে আসছেন। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, এসব প্রার্থীই চূড়ান্ত নয়।

সে অনুযায়ী এবার ব্যাপক পরিবর্তন ও নতুন চমক নিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে দলটি। জানা গেছে, নতুন তালিকায় বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আলেম, পেশাজীবী, নারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রনেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই বা নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই তালিকা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আন্দোলনরত আট দলের সঙ্গে (এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে) আসন সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করবে জামায়াত।

দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও পেশাজীবীদেরও প্রার্থী করার চিন্তা রয়েছে। ৪ নভেম্বর ওমরাহ পালন শেষে ব্রিফিংয়ে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা আঞ্চলিক পর্যায়ে এক বছর আগেই প্রার্থী তালিকা জানিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকা যথাসময়ে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে।”

দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চূড়ান্ত তালিকা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হবে, যেখানে আগের তালিকায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, এ তালিকায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী এমনকি কয়েকজন নারীও থাকতে পারেন। ছাত্র সংগঠনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করার আভাস রয়েছে। দলের বাইরের আগ্রহী প্রার্থীরাও জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা কিংবা অন্য প্রতীকে লড়তে পারবেন—তবে সবই দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে জামায়াত। মাঠপর্যায়ের তথ্য ও বিভিন্ন জরিপে জনসমর্থন বাড়ছে বলে দলের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ। সে অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যেই তারা বিভিন্ন কৌশল সাজাচ্ছে—ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমতা এবং প্রার্থীতায় বৈচিত্র্য তার মধ্যে অন্যতম।

সোমবার রাজধানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির এ নির্বাচনকে জাতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেন এবং সারাদেশে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে এডিবি–অর্থায়িত বায়োটেক রিসার্চ সেন্টার স্থাপনে আপত্তি পিনাকী ভট্টাচার্যের

“বহুমাত্রিক চমক নিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে জামায়াত: তরুণ, নারী, সংখ্যালঘু ও পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার”

আপডেট সময় ১০:২৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত এক বছর ধরে সব আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ছিলেন নতুন মুখ এবং তরুণ নেতৃত্ব। ঘোষণার পরই সংশ্লিষ্ট এলাকায় তারা গণসংযোগ ও প্রচার চালিয়ে আসছেন। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল, এসব প্রার্থীই চূড়ান্ত নয়।

সে অনুযায়ী এবার ব্যাপক পরিবর্তন ও নতুন চমক নিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে দলটি। জানা গেছে, নতুন তালিকায় বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আলেম, পেশাজীবী, নারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রনেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই বা নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার আগেই এই তালিকা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আন্দোলনরত আট দলের সঙ্গে (এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে) আসন সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করবে জামায়াত।

দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও পেশাজীবীদেরও প্রার্থী করার চিন্তা রয়েছে। ৪ নভেম্বর ওমরাহ পালন শেষে ব্রিফিংয়ে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা আঞ্চলিক পর্যায়ে এক বছর আগেই প্রার্থী তালিকা জানিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকা যথাসময়ে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে।”

দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চূড়ান্ত তালিকা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে প্রকাশ করা হবে, যেখানে আগের তালিকায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, এ তালিকায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী এমনকি কয়েকজন নারীও থাকতে পারেন। ছাত্র সংগঠনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করার আভাস রয়েছে। দলের বাইরের আগ্রহী প্রার্থীরাও জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা কিংবা অন্য প্রতীকে লড়তে পারবেন—তবে সবই দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে জামায়াত। মাঠপর্যায়ের তথ্য ও বিভিন্ন জরিপে জনসমর্থন বাড়ছে বলে দলের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ। সে অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যেই তারা বিভিন্ন কৌশল সাজাচ্ছে—ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমতা এবং প্রার্থীতায় বৈচিত্র্য তার মধ্যে অন্যতম।

সোমবার রাজধানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির এ নির্বাচনকে জাতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেন এবং সারাদেশে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান।