ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে: রুমিন ফারহানা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে “জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী রুমিন ফারহানা

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুমিন ফারহানা বলেন, কোনো বিচার যদি সময়সীমা বা শর্ত বেঁধে দিয়ে পরিচালিত হয়, তাহলে সেই বিচার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিচারকে আটকে রাখার বা প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা কখনোই ভালো ফল বয়ে আনে না।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার রায়ে দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। এ রায়কে ঘিরে দেশ-বিদেশে নানা ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণও রয়েছে। ডেভিড বার্গম্যান, যিনি হাসিনার আমলে খুব সোচ্চার ছিলেন, তিনিও তার সাম্প্রতিক লেখায় বলেছেন—প্রসিকিউশনের হাতে শক্ত প্রমাণ ছিল।”

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দৃশ্যমান বিচারই একমাত্র শর্ত নয়। বরং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, গণভোট, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড—এ ধরনের আরও বিভিন্ন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করার শর্ত তোলা হয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে জামায়াতসহ যারা এই দাবিগুলো তুলেছে, তারা নির্বাচনে আসবে কি না—এটা একটি বড় প্রশ্ন।”

রুমিনের মতে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে গেলে বা ভোট গ্রহণ ব্যাহত হলে, তার সুবিধা পাবে সেই রাজনৈতিক শক্তি, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে গুলি করে হত্যা: ৫ দফা দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল শনিবার

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে: রুমিন ফারহানা

আপডেট সময় ১১:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে “জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী রুমিন ফারহানা

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুমিন ফারহানা বলেন, কোনো বিচার যদি সময়সীমা বা শর্ত বেঁধে দিয়ে পরিচালিত হয়, তাহলে সেই বিচার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিচারকে আটকে রাখার বা প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা কখনোই ভালো ফল বয়ে আনে না।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার রায়ে দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। এ রায়কে ঘিরে দেশ-বিদেশে নানা ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণও রয়েছে। ডেভিড বার্গম্যান, যিনি হাসিনার আমলে খুব সোচ্চার ছিলেন, তিনিও তার সাম্প্রতিক লেখায় বলেছেন—প্রসিকিউশনের হাতে শক্ত প্রমাণ ছিল।”

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দৃশ্যমান বিচারই একমাত্র শর্ত নয়। বরং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, গণভোট, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড—এ ধরনের আরও বিভিন্ন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করার শর্ত তোলা হয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে জামায়াতসহ যারা এই দাবিগুলো তুলেছে, তারা নির্বাচনে আসবে কি না—এটা একটি বড় প্রশ্ন।”

রুমিনের মতে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে গেলে বা ভোট গ্রহণ ব্যাহত হলে, তার সুবিধা পাবে সেই রাজনৈতিক শক্তি, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।