মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি দাবি করেছেন, “ভারত আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।”
ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তার পরিবারের গভীর কৃতজ্ঞতা রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, জঙ্গিরা তার মাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল এবং সেই হুমকি এখনও বিদ্যমান।
বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ অনুরোধকে “অবৈধ” বলে উল্লেখ করে জয় বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিচারিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছে। তিনি বলেন, “যখন কোনো দেশে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া থাকে না, তখন কোনো দেশই প্রত্যর্পণ করবে না।” তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে ভারত এই অনুরোধ নাকচ করবে।
জয় অভিযোগ করেন, দেশের ভেতরে আইনি সংশোধন থেকে শুরু করে বিচারকদের বরখাস্ত—সবই হয়েছে সংসদীয় অনুমোদন ছাড়াই। এমনকি শেখ হাসিনার আইনজীবীদের আদালতে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনার পতনের পর “হাজার হাজার দোষী সন্ত্রাসীকে” মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং লস্কর-ই-তৈয়বা এখন বাংলাদেশে সক্রিয়। দিল্লির সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গেও সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দেন তিনি।
জয়ের মতে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গত বছরের বিক্ষোভে অনুপ্রবেশকারীদের অস্ত্র সরবরাহে ভূমিকা রেখেছিল। সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ভিডিও উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই অস্ত্রগুলো উপমহাদেশের বাইরে থেকে আসার সুযোগ নেই; একমাত্র সম্ভাব্য উৎস আইএসআই।”
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যখন উত্তেজনা বাড়ছে, ঠিক তখনই জয়ের এসব অভিযোগ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।



















