রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটকের কাছে রাতের খাবার খাওয়ার সময় মুখোশধারী অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল ফারাবীসহ তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা ফারাবী এবং তাহমিদ আহমেদ বখশীকে অপহরণ করে নেওয়ার পর পরে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে কাজলা ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাত সাড়ে ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১০–১৫টি মোটরসাইকেলে মুখে কালো কাপড় ও হেলমেট পরা একদল সশস্ত্র যুবক রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছবি দেখিয়ে একজনকে খুঁজছিল। হঠাৎ তারা হাতুড়ি, রড ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা শুরু করে। পরে মারধর করে ফারাবী ও বখশীকে তুলে নিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ফারাবীকে বেতার মাঠের পাশে এবং বখশীকে হবিবুর রহমান হলের সামনে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। ফারাবীর পিঠে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে রামেকের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
উদ্ধারের পর বখশী জানান, মোটরসাইকেলযোগে আসা মুখোশধারীরা প্রথমে তাকে মারধর করে রিকশায় তুলে নিয়ে সুইটের মোড় এলাকায় নিয়ে যায়, সেখানে তাকে অন্ধকারে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হামলাকারীদের একজন ফোনে বলে, “আসলটাকে পেয়েছি।” পরে তারা তাকে মোল্লা স্কুলের সামনে ফেলে পালিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সশস্ত্র একটি দল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও অপহরণ চালিয়েছে। ঘটনাটিতে পুলিশের কার্যক্রম অসন্তোষজনক ছিল। বর্তমানে আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাধীন।
মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক জানান, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।



















