ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তর জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি: আমজনতার দল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমজনতার দল। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর যেমন দেশের অর্থনীতির প্রধান রক্তনালী, তেমনি এটি জাতীয় নিরাপত্তারও কেন্দ্রবিন্দু। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের আগে স্বচ্ছতা, তথ্য উন্মুক্তকরণ এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি—কোনো কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি। চুক্তির শর্ত পর্যন্ত গোপনে রাখা হয়েছে, যা সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

তিনি দাবি করেন, বিদেশি কম্পানিকে বিশেষ সুবিধা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ চুক্তির আগেই সেবার চার্জ গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়িয়েছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা চাপের মুখে পড়েছেন এবং সামগ্রিক বাণিজ্য খরচ বেড়ে গেছে।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ দেশবিরোধী, অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ‘জোর-জবরদস্তি’ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলেও মনে করে আমজনতার দল।

সংবাদ সম্মেলনে আমজনতার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়—সরকার যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্দর পরিচালনার চুক্তি থেকে সরে না আসে, তবে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচিতে নামতে বাধ্য হবে তারা। একই সঙ্গে দেশের আইন-শৃঙ্খলা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামগ্রিক অর্থনীতির স্বার্থে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নভেম্বরে ১৯ দিনে প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার

বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তর জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি: আমজনতার দল

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমজনতার দল। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর যেমন দেশের অর্থনীতির প্রধান রক্তনালী, তেমনি এটি জাতীয় নিরাপত্তারও কেন্দ্রবিন্দু। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের আগে স্বচ্ছতা, তথ্য উন্মুক্তকরণ এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি—কোনো কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি। চুক্তির শর্ত পর্যন্ত গোপনে রাখা হয়েছে, যা সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

তিনি দাবি করেন, বিদেশি কম্পানিকে বিশেষ সুবিধা দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ চুক্তির আগেই সেবার চার্জ গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়িয়েছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা চাপের মুখে পড়েছেন এবং সামগ্রিক বাণিজ্য খরচ বেড়ে গেছে।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ দেশবিরোধী, অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ‘জোর-জবরদস্তি’ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলেও মনে করে আমজনতার দল।

সংবাদ সম্মেলনে আমজনতার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়—সরকার যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্দর পরিচালনার চুক্তি থেকে সরে না আসে, তবে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচিতে নামতে বাধ্য হবে তারা। একই সঙ্গে দেশের আইন-শৃঙ্খলা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সামগ্রিক অর্থনীতির স্বার্থে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।