ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউল শিল্পী-সমর্থক হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি এনসিপির

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দলটির ধর্ম ও সম্প্রীতি সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— যে মতবিরোধই থাকুক, সহিংসতা, আইনহীনতা বা হয়রানির কোনো বৈধতা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে বাউল, ফকির, সুফি, তাসাওফপন্থিসহ বিভিন্ন ধারার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই বৈচিত্র্য রক্ষা করা মানে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ ও সম্প্রীতির জাতীয় চেতনাকে রক্ষা করা। ভিন্নমতকে দমন নয়; শোনা ও বোঝার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করাই সময়ের দাবি।

এনসিপি আরও জানায়, ধর্মীয় মত বা ব্যাখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকতেই পারে এবং তা বিতর্কও তৈরি করতে পারে। কিন্তু উত্তরণের পথ কখনোই প্রতিশোধ বা সহিংসতা নয়। শত বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী দেশের দায়িত্বশীল আলেমসমাজ শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, প্রজ্ঞা ও সদাচরণের মাধ্যমে দ্বীনের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন— এটাই জাতীয় সম্পদ। তাই সমাজে উত্তেজনা দেখা দিলে শান্তিপ্রিয় এই আলেমদের ভূমিকা সংযম, আইন ও শালীনতার পথে মানুষকে স্থিত রাখা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগ বা মতভিন্নতার সমাধান হবে আইন, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের ভিত্তিতে— কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে নয়। বাউল-ফকির-তাসাওফপন্থিসহ সব সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

উসকানি, বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সম্প্রীতি, সংযম এবং পারস্পরিক সম্মানের পথ আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদির লড়াই ছিল রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান গড়ার, সহিংসতার নয়—তাসনিম জারা

বাউল শিল্পী-সমর্থক হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি এনসিপির

আপডেট সময় ০৪:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দলটির ধর্ম ও সম্প্রীতি সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— যে মতবিরোধই থাকুক, সহিংসতা, আইনহীনতা বা হয়রানির কোনো বৈধতা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যে বাউল, ফকির, সুফি, তাসাওফপন্থিসহ বিভিন্ন ধারার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই বৈচিত্র্য রক্ষা করা মানে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ ও সম্প্রীতির জাতীয় চেতনাকে রক্ষা করা। ভিন্নমতকে দমন নয়; শোনা ও বোঝার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করাই সময়ের দাবি।

এনসিপি আরও জানায়, ধর্মীয় মত বা ব্যাখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকতেই পারে এবং তা বিতর্কও তৈরি করতে পারে। কিন্তু উত্তরণের পথ কখনোই প্রতিশোধ বা সহিংসতা নয়। শত বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী দেশের দায়িত্বশীল আলেমসমাজ শান্তিপূর্ণ দাওয়াত, প্রজ্ঞা ও সদাচরণের মাধ্যমে দ্বীনের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন— এটাই জাতীয় সম্পদ। তাই সমাজে উত্তেজনা দেখা দিলে শান্তিপ্রিয় এই আলেমদের ভূমিকা সংযম, আইন ও শালীনতার পথে মানুষকে স্থিত রাখা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগ বা মতভিন্নতার সমাধান হবে আইন, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের ভিত্তিতে— কোনোভাবেই জনতা বা গোষ্ঠীর হাতে নয়। বাউল-ফকির-তাসাওফপন্থিসহ সব সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

উসকানি, বিভাজন ও সহিংসতার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সম্প্রীতি, সংযম এবং পারস্পরিক সম্মানের পথ আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।