ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের কথাবার্তা মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে: রিজভী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপির এখনো সরাসরি কোনো অনাস্থা নেই। তবে সরকারের প্রতিনিধিদের কথাবার্তা ও আচরণে জনগণ বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই ধরনের আচরণ পরিহার করুন। দ্রুত একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।”

রবিবার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর জেলার নোয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

সরকারের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, “নির্বাচনের নির্ধারিত সময় ঘোষণা করুন। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্ভব। ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ মাস পার হয়ে গেছে। যদি ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হয়, তাহলে হাতে এখনো অনেক সময় আছে। এত দীর্ঘসূত্রতা জনগণের সন্দেহ বাড়ায়।”

তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে জনগণের কোনো কর্তৃত্ব নেই, নেই কোনো নির্বাচিত সরকারও। দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। নির্বাচিত সরকার না থাকায় প্রশাসনও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। যার ফলে সমাজে সন্ত্রাস, খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে রিজভী বলেন, “আমরা আপনার বিরুদ্ধে নই। আপনাকে সম্মান জানিয়ে কথা বলি। কিন্তু আপনার উপদেষ্টারা যখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেন, তখন আমাদেরও কথা বলতে হয়।” তিনি এক উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “আপনি বললেন যদি আমি বিদেশি হই, তাহলে তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য হবে। আপনি জানেন না—তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী। তিনি দেশে থাকলে শেখ হাসিনা তাকে হত্যার চেষ্টা করতেন।”

রিজভী প্রশ্ন তোলেন, “আজ শেখ হাসিনা নেই, তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই, তবুও কেন কৃষকদলের নেতা তারিকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হলো?”

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের ইতিহাসে মানুষের মাথাপিছু আয়ের রেকর্ড

অন্তর্বর্তী সরকারের কথাবার্তা মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে: রিজভী

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপির এখনো সরাসরি কোনো অনাস্থা নেই। তবে সরকারের প্রতিনিধিদের কথাবার্তা ও আচরণে জনগণ বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই ধরনের আচরণ পরিহার করুন। দ্রুত একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।”

রবিবার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর জেলার নোয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

সরকারের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, “নির্বাচনের নির্ধারিত সময় ঘোষণা করুন। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্ভব। ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ মাস পার হয়ে গেছে। যদি ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হয়, তাহলে হাতে এখনো অনেক সময় আছে। এত দীর্ঘসূত্রতা জনগণের সন্দেহ বাড়ায়।”

তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে জনগণের কোনো কর্তৃত্ব নেই, নেই কোনো নির্বাচিত সরকারও। দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। নির্বাচিত সরকার না থাকায় প্রশাসনও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। যার ফলে সমাজে সন্ত্রাস, খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে রিজভী বলেন, “আমরা আপনার বিরুদ্ধে নই। আপনাকে সম্মান জানিয়ে কথা বলি। কিন্তু আপনার উপদেষ্টারা যখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেন, তখন আমাদেরও কথা বলতে হয়।” তিনি এক উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “আপনি বললেন যদি আমি বিদেশি হই, তাহলে তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য হবে। আপনি জানেন না—তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী। তিনি দেশে থাকলে শেখ হাসিনা তাকে হত্যার চেষ্টা করতেন।”

রিজভী প্রশ্ন তোলেন, “আজ শেখ হাসিনা নেই, তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই, তবুও কেন কৃষকদলের নেতা তারিকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হলো?”