রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম—সারা দেশজুড়ে ভয়ংকরভাবে বেড়ে গেছে নীরব চাঁদাবাজি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিল্প মালিকরা পড়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়।
রাজধানীর পল্লবীতে এক ব্যবসায়ীকে ফোনে বলা হয়— ‘তুই বড় ব্যবসায়ী, পাঁচ কোটি টাকা দিবি, নইলে মাইরা ফালামু—বাঁচবি না তোর পরিবার।’ চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে তাঁর পায়ে গুলি চালায়। গুরুতর আহত হয়ে ওই ব্যবসায়ী এখন প্রায় পঙ্গু, পরিবারসহ রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
একই চিত্র চট্টগ্রামেও। চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক এক পরিচালক জানান, ইপিজেডে দুই যুগ ব্যবসা করার পরেও তাঁকে চাওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। চাঁদা না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ধারাবাহিক অপমান, চরিত্র হনন ও হুমকি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের নাম উঠে এসেছে চট্টগ্রামের এক নারী উদ্যোক্তার অভিযোগে। তিনি জানান, তাঁর কাছে চাওয়া হয়েছে এক কোটি টাকা। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বহুবার। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর পরিবারের।

























