ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কৃষ্ণ নন্দী—জামায়াতের সম্ভাব্য হিন্দু প্রার্থী নিয়ে জোর জল্পনা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:১৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৮৮৩ বার পড়া হয়েছে

খুলনার রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম কৃষ্ণ নন্দী। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনা তুঙ্গে।

যদিও দলীয়ভাবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই, তবু নিজে মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কৃষ্ণ নন্দী। তার দাবি, দলের হাইকমান্ড থেকে তিনি “গ্রিন সিগন্যাল” পেয়েছেন এবং কাজ শুরু করার নির্দেশও পেয়েছেন।

অন্যদিকে খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ইতোমধ্যেই প্রচারণায় নেমেছেন। আগের মতো এবারও হিন্দু নারী-পুরুষদের বিপুল উপস্থিতি তার সভা-সমাবেশে দেখা যাচ্ছে। কৃষ্ণ নন্দীও এসব সভায় অংশ নিয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে বক্তব্য রাখছেন।

স্থানীয় জামায়াত সূত্রে জানা যায়, খুলনা-১ আসনটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় হিন্দু প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলাপ চলছে। তাছাড়া বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় ধারণা করা হচ্ছে—এ আসনটি জোটের সম্ভাব্য শেয়ারিংয়ের জন্য ফাঁকা রাখা হতে পারে। ফলে হিন্দু প্রার্থী দিলে জামায়াতের জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে স্থানীয়দের মতামত।

তবে এ বিষয়ে খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান পুরোপুরি ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি জানান—
“খুলনার ৬টি আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা-১ আসনে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ। নতুন কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।”

কৃষ্ণ নন্দীর ব্যক্তিগত পরিচিতি অনুযায়ী, তিনি ডুমুরিয়ার চুকনগর বাণিজ্যিক এলাকার ব্যবসায়ী। একসময় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তার সঙ্গে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে এবং তখন থেকেই তিনি জামায়াতের নির্বাচনি কার্যক্রমে সক্রিয় হন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ নন্দী বলেন—
“আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দমন-পীড়নের সময়েও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম।”

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী কয়েক ঘণ্টা ওসমান হাদির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ

খুলনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কৃষ্ণ নন্দী—জামায়াতের সম্ভাব্য হিন্দু প্রার্থী নিয়ে জোর জল্পনা

আপডেট সময় ০৩:১৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

খুলনার রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম কৃষ্ণ নন্দী। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে খুলনা-১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনা তুঙ্গে।

যদিও দলীয়ভাবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই, তবু নিজে মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কৃষ্ণ নন্দী। তার দাবি, দলের হাইকমান্ড থেকে তিনি “গ্রিন সিগন্যাল” পেয়েছেন এবং কাজ শুরু করার নির্দেশও পেয়েছেন।

অন্যদিকে খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ইতোমধ্যেই প্রচারণায় নেমেছেন। আগের মতো এবারও হিন্দু নারী-পুরুষদের বিপুল উপস্থিতি তার সভা-সমাবেশে দেখা যাচ্ছে। কৃষ্ণ নন্দীও এসব সভায় অংশ নিয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে বক্তব্য রাখছেন।

স্থানীয় জামায়াত সূত্রে জানা যায়, খুলনা-১ আসনটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় হিন্দু প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলাপ চলছে। তাছাড়া বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় ধারণা করা হচ্ছে—এ আসনটি জোটের সম্ভাব্য শেয়ারিংয়ের জন্য ফাঁকা রাখা হতে পারে। ফলে হিন্দু প্রার্থী দিলে জামায়াতের জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে স্থানীয়দের মতামত।

তবে এ বিষয়ে খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান পুরোপুরি ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি জানান—
“খুলনার ৬টি আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা-১ আসনে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ। নতুন কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।”

কৃষ্ণ নন্দীর ব্যক্তিগত পরিচিতি অনুযায়ী, তিনি ডুমুরিয়ার চুকনগর বাণিজ্যিক এলাকার ব্যবসায়ী। একসময় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তার সঙ্গে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে এবং তখন থেকেই তিনি জামায়াতের নির্বাচনি কার্যক্রমে সক্রিয় হন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ নন্দী বলেন—
“আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দমন-পীড়নের সময়েও নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম।”