ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তরুণ ভোটারদের অনিশ্চয়তায় পাল্টে যাচ্ছে নির্বাচনের হিসাব—দুর্বল এনসিপি, ভাঙা আওয়ামী ভোট, লাভবান বিএনপি–জামায়াত

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

তোলা জরিপে দেখা গেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তরুণদের প্রধান লক্ষ্য করেও মাত্র ৪ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং ভোটের মাঠে সীমিত প্রভাবের। কোনো কৌশলগত জোট না করলে সংসদে একটি আসন পাওয়াও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

সিদ্ধান্তহীন তরুণ ভোটারদের বড় অংশ

জরিপের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—বহু তরুণ এখনো সিদ্ধান্তহীন। প্রায় ৩০ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন তারা এখনো কোনো দলকে বেছে নেননি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে এই বড় গ্রুপ বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে ঝুঁকতে পারে।

আরো ১৮ শতাংশ তরুণ তাদের পছন্দ জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এদের মধ্যে বহু ‘নীরব’ আওয়ামী লীগ সমর্থক থাকতে পারেন। যদি অনুমান করা যায় যে এই গোষ্ঠীর অর্ধেক (৯ শতাংশ) আওয়ামী লীগ–অনুগত, তাহলে আগে দেখা ১০ শতাংশের সঙ্গে যোগ হয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সমর্থন দাঁড়ায় প্রায় ১৯ শতাংশের মতো। এতে তারা বিএনপি (২০ শতাংশ) বা জামায়াতের (১৭ শতাংশ) কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসে।
তবে বিএনপি ও জামায়াতের মোট সমর্থন ৩৭ শতাংশ হওয়ায় আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনো পিছিয়েই থাকে।

সাবেক আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ভবিষ্যৎ ভোট

যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাদের সাবেক ভোটারদের অবস্থান নিয়েও জরিপে ইঙ্গিত মিলেছে। এদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ জানিয়েছেন তারা ভোট দেবেন না। যারা ভোট দিতে চান, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঝুঁকছেন বিএনপি (২০ শতাংশ) ও জামায়াতের (১৭ শতাংশ) দিকে। তবে এখনো ৪১ শতাংশ সাবেক আওয়ামী লীগ ভোটার সিদ্ধান্তহীন।

বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে যে অনেক সাবেক আওয়ামী লীগ সমর্থক এখন জামায়াতকে সমর্থন করতে রাজি। এর দুটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে—

  1. স্থানীয় রাজনৈতিক বাস্তবতা: স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের কঠোর আচরণের কারণে সাবেক আওয়ামী লীগর্মীরা জামায়াতকে ‘কম ক্ষতিকর’ বিকল্প হিসেবে দেখছেন।
  2. রাজনৈতিক যুক্তি: আওয়ামী লীগের কিছু অংশ মনে করতে পারে, যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে তবে প্রমাণ হবে যে বাংলাদেশকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হওয়া থেকে বিরত রাখার একমাত্র শক্তি ছিল আওয়ামী লীগ—তাদের দাবিই বরং সত্যি হয়ে দাঁড়াবে।

ইতিবাচক–নেতিবাচক সবদিক মিলিয়ে তরুণদের সিদ্ধান্তহীনতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগ ভোটের ছড়িয়ে যাওয়া আসন্ন নির্বাচনের রাজনৈতিক সমীকরণকে উল্টেপাল্টে দিতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলাম গ্রহণ করলেন মার্কিন টিকটক তারকা ক্যানিয়ন মিম্বস

তরুণ ভোটারদের অনিশ্চয়তায় পাল্টে যাচ্ছে নির্বাচনের হিসাব—দুর্বল এনসিপি, ভাঙা আওয়ামী ভোট, লাভবান বিএনপি–জামায়াত

আপডেট সময় ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

তোলা জরিপে দেখা গেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তরুণদের প্রধান লক্ষ্য করেও মাত্র ৪ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং ভোটের মাঠে সীমিত প্রভাবের। কোনো কৌশলগত জোট না করলে সংসদে একটি আসন পাওয়াও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

সিদ্ধান্তহীন তরুণ ভোটারদের বড় অংশ

জরিপের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—বহু তরুণ এখনো সিদ্ধান্তহীন। প্রায় ৩০ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন তারা এখনো কোনো দলকে বেছে নেননি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে এই বড় গ্রুপ বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে ঝুঁকতে পারে।

আরো ১৮ শতাংশ তরুণ তাদের পছন্দ জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এদের মধ্যে বহু ‘নীরব’ আওয়ামী লীগ সমর্থক থাকতে পারেন। যদি অনুমান করা যায় যে এই গোষ্ঠীর অর্ধেক (৯ শতাংশ) আওয়ামী লীগ–অনুগত, তাহলে আগে দেখা ১০ শতাংশের সঙ্গে যোগ হয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সমর্থন দাঁড়ায় প্রায় ১৯ শতাংশের মতো। এতে তারা বিএনপি (২০ শতাংশ) বা জামায়াতের (১৭ শতাংশ) কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসে।
তবে বিএনপি ও জামায়াতের মোট সমর্থন ৩৭ শতাংশ হওয়ায় আওয়ামী লীগের অবস্থান এখনো পিছিয়েই থাকে।

সাবেক আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ভবিষ্যৎ ভোট

যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাদের সাবেক ভোটারদের অবস্থান নিয়েও জরিপে ইঙ্গিত মিলেছে। এদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ জানিয়েছেন তারা ভোট দেবেন না। যারা ভোট দিতে চান, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঝুঁকছেন বিএনপি (২০ শতাংশ) ও জামায়াতের (১৭ শতাংশ) দিকে। তবে এখনো ৪১ শতাংশ সাবেক আওয়ামী লীগ ভোটার সিদ্ধান্তহীন।

বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে যে অনেক সাবেক আওয়ামী লীগ সমর্থক এখন জামায়াতকে সমর্থন করতে রাজি। এর দুটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে—

  1. স্থানীয় রাজনৈতিক বাস্তবতা: স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের কঠোর আচরণের কারণে সাবেক আওয়ামী লীগর্মীরা জামায়াতকে ‘কম ক্ষতিকর’ বিকল্প হিসেবে দেখছেন।
  2. রাজনৈতিক যুক্তি: আওয়ামী লীগের কিছু অংশ মনে করতে পারে, যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে তবে প্রমাণ হবে যে বাংলাদেশকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হওয়া থেকে বিরত রাখার একমাত্র শক্তি ছিল আওয়ামী লীগ—তাদের দাবিই বরং সত্যি হয়ে দাঁড়াবে।

ইতিবাচক–নেতিবাচক সবদিক মিলিয়ে তরুণদের সিদ্ধান্তহীনতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগ ভোটের ছড়িয়ে যাওয়া আসন্ন নির্বাচনের রাজনৈতিক সমীকরণকে উল্টেপাল্টে দিতে পারে।