ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর–কাঁঠালিয়া) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ড. ফয়জুল হক। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
ড. ফয়জুল হক ওলিয়ে কামেল হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর (রহ.) এর নাতি এবং রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ১৯৮৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া এই শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ ও এমএ সম্পন্ন করার পর ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি এবং ২০২৩ সালে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ অর্জন করেন।
তিনি বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক রাজাপুরী হুজুরের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ড. ফয়জুল হকের বড় ভাই অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ছাইফুল হক, সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ শহীদুল হক এবং আইআইইউসি’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আমিনুল হক ইতোমধ্যে একাডেমিয়ায় সুপরিচিত।
গত ১৬ বছর ধরে দেশে-বিদেশে অনলাইন টকশো, লাইভ এবং লেখালেখির মাধ্যমে অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন ড. ফয়জুল হক। জুলাই বিপ্লবের সময়ও তিনি প্রবাসে থেকেও জনমত গঠনে সক্রিয় ছিলেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,
“দাঁড়িপাল্লার মনোনয়ন পেয়ে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্বে ডা. শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং একটি দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, ঝালকাঠি-১ আসনের মানুষ সত্য ও দেশপ্রেমের পক্ষে রায় দিতে প্রস্তুত। দলমত নির্বিশেষে সবাই এবারের ভোট দাঁড়িপাল্লায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর সাহেবসহ বিভিন্ন পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ড. ফয়জুল হক বলেন,
“সবাই মিলে এবার এমন বিপ্লব ঘটাবো, যা বিগত সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।”
নির্বাচনী কাউন্টডাউন শুরুর আগেই ঝালকাঠি-১ আসনটি এখন রাজনৈতিকভাবে বেশ সরব হয়ে উঠেছে।


























