রাজধানীর ভাষানটেক বিআরপি মাঠে ঢাকা–১৭ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. এসএম খালেদুজ্জামানের উদ্যোগে আয়োজিত যুব–ছাত্র ও নাগরিক গণসমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের মহিলা জামায়াত ও ছাত্রী সংস্থার নারীদের ওপর হামলা চালিয়ে আগুন নিয়ে খেলা করছে। আগুন নিয়ে যারা খেলে তাদের পরিণতি অতীতেও খারাপ হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।”
সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি অভিযোগ তুলে বলেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্রদের ত্যাগের পরও ‘ফ্যাসিবাদী ও আধিপত্যবাদী দালালরা’ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। নোট অব ডিসেন্টের নামে জাতীয় সংস্কার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দেড় বছরে বিএনপির হাতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “সৎ সাহস থাকলে নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনে অংশ নিন। মানুষ হত্যা করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। দেশের মানুষ চাঁদাবাজ, নারী নির্যাতনকারী, ভোটাধিকার হরণকারী কাউকেই আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
বিদেশ থেকে বাংলাদেশ পরিচালনার মানসিকতা প্রসঙ্গে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দিল্লি, পিন্ডি ও লন্ডনে বসে বাংলাদেশ চালানোর দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। বাংলাদেশ পরিচালনা করতে হলে দেশের মাটিতে এসে মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করতে হবে।”
শিবিরের ওপর দীর্ঘদিনের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে শত শত শিবিরকর্মীকে হত্যা, গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। ২০২৪ সালের পর আবিষ্কৃত ‘আয়নাঘর’ সত্ত্বেও সাতজন নিখোঁজ নেতার সন্ধান এখনো না পাওয়াকে তিনি প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, “যারা অতীতে আমাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, তারা নিজেরাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আমাদের ভয় দেখাতে আসবেন না—আমরা এক আল্লাহ ছাড়া কারো সামনে মাথা নত করি না।”
নারীদের ওপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে শিবির সভাপতি বলেন, “কোরআন তালিমের প্রোগ্রামে হামলা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। নতুন প্রজন্ম নোংরা কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি চায় না। যারা নারীদের ওপর হামলা করছে তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে।”


























