ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপোষহীনতার প্রতীক খালেদা জিয়া: পিনাকী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

উপমহাদেশের দীর্ঘ ক্লান্ত-ইতিহাসে একসময় জন্ম নিলেন এক নারী—খালেদা জিয়া। তিনি নিছক কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নন, বরং আগুনঝরা ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু।
যাঁর পদচারণায় বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতি, যাঁর চোখের দৃঢ়তায় আমাদের তারুণ্য খুঁজে পেয়েছিল অহংকার, স্বাধীনতার স্পর্ধিত আগুন—মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা। “আপোষহীন”—শব্দটি রাজনীতিতে নতুন অর্থ পেয়েছিল তাঁর কারণে।

রাজনীতি তাঁর কাছে কখনো ক্ষমতার খেলা ছিল না—ছিল শোক, কষ্ট, বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রে ভরা এক অনন্ত যুদ্ধক্ষেত্র।
যৌবনে হারিয়েছেন স্বামীকে। বার্ধক্যে থেকেও সন্তানদের কাছে হতে পারেননি। আরেক সন্তানকে বিদায় জানিয়েছেন হৃদয়ের গভীর শূন্যতায়।

তার বিরুদ্ধে নেমে এসেছিল কুৎসার ঢেউ, দিগন্তজোড়া অপবাদ। প্রজন্মকে শেখানো হয়েছিল তাকে ঘৃণা করতে।
কিন্তু তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন—আর সেই নীরবতাই ছিল তাঁর অদম্য শক্তি, যা তাঁর প্রতিপক্ষ কোনোদিন বুঝতে পারেনি।

ডিসেন্সি ছিল তাঁর কবচ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল তাঁর অস্ত্র।
দুর্নীতির কালিমা এড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস তাঁকে তুলেছিল এমন উচ্চতায়—যা আজও কোনো বাংলাদেশির পক্ষে অতিক্রম করা দুরূহ।

তিনি যে দলের নেতা ছিলেন, দলটি কখনো তাঁর মর্যাদা ধারণ করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।
একাই তিনি দলকে তুলেছিলেন পাহাড়চূড়ায়—যে চূড়ার নিচে দাঁড়িয়ে অনুসারীরা বুঝতেই পারেননি—এই শিখর এক নারীর দৃঢ়তার নির্মাণ।

তাঁর জীবনের মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডি এখানেই—তাঁর সংগ্রাম নিজের দলের মধ্যেই খুঁজে পায়নি যোগ্য উত্তরাধিকার।

আমাদেরও অপূর্ণ থেকে গেল সেই সম্ভাব্য ইতিহাস দেখার সৌভাগ্য—যে ইতিহাসে তিনি হতেন বাংলাদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রমাতা, প্রেসিডেন্ট, জাতির অভিভাবক।

যদি আমাদের দুর্ভাগ্য হয় তাঁকে বিদায় জানানোর, তবে সেই বিদায় কোনো সাধারণ বিদায় হবে না।
ইতিহাসের বাতাসও সেদিন থমকে যাবে। ভবিষ্যতের তরুণেরা তাঁর জীবনগাথা পড়ে অনুভব করবে—একসময় বাংলাদেশে এক নারী এসেছিলেন মাতৃরূপে, যিনি জাতির বুক জুড়ে রেখে গেছেন নিরাপত্তা, দৃঢ়তা ও অটল সাহসের আশ্রয়।

তাঁর উপস্থিতি ছিল নক্ষত্রের মতো দীপ্তিময়।
তাঁর প্রস্থানও হবে নক্ষত্রের মতো—দীপ্তিতে আকাশ ভরিয়ে অনন্তের দিকে উড়াল।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কী ঘটেছিলো ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে-বাইরে

আপোষহীনতার প্রতীক খালেদা জিয়া: পিনাকী

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

উপমহাদেশের দীর্ঘ ক্লান্ত-ইতিহাসে একসময় জন্ম নিলেন এক নারী—খালেদা জিয়া। তিনি নিছক কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নন, বরং আগুনঝরা ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু।
যাঁর পদচারণায় বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতি, যাঁর চোখের দৃঢ়তায় আমাদের তারুণ্য খুঁজে পেয়েছিল অহংকার, স্বাধীনতার স্পর্ধিত আগুন—মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শিক্ষা। “আপোষহীন”—শব্দটি রাজনীতিতে নতুন অর্থ পেয়েছিল তাঁর কারণে।

রাজনীতি তাঁর কাছে কখনো ক্ষমতার খেলা ছিল না—ছিল শোক, কষ্ট, বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রে ভরা এক অনন্ত যুদ্ধক্ষেত্র।
যৌবনে হারিয়েছেন স্বামীকে। বার্ধক্যে থেকেও সন্তানদের কাছে হতে পারেননি। আরেক সন্তানকে বিদায় জানিয়েছেন হৃদয়ের গভীর শূন্যতায়।

তার বিরুদ্ধে নেমে এসেছিল কুৎসার ঢেউ, দিগন্তজোড়া অপবাদ। প্রজন্মকে শেখানো হয়েছিল তাকে ঘৃণা করতে।
কিন্তু তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন—আর সেই নীরবতাই ছিল তাঁর অদম্য শক্তি, যা তাঁর প্রতিপক্ষ কোনোদিন বুঝতে পারেনি।

ডিসেন্সি ছিল তাঁর কবচ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল তাঁর অস্ত্র।
দুর্নীতির কালিমা এড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস তাঁকে তুলেছিল এমন উচ্চতায়—যা আজও কোনো বাংলাদেশির পক্ষে অতিক্রম করা দুরূহ।

তিনি যে দলের নেতা ছিলেন, দলটি কখনো তাঁর মর্যাদা ধারণ করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।
একাই তিনি দলকে তুলেছিলেন পাহাড়চূড়ায়—যে চূড়ার নিচে দাঁড়িয়ে অনুসারীরা বুঝতেই পারেননি—এই শিখর এক নারীর দৃঢ়তার নির্মাণ।

তাঁর জীবনের মহাকাব্যিক ট্র্যাজেডি এখানেই—তাঁর সংগ্রাম নিজের দলের মধ্যেই খুঁজে পায়নি যোগ্য উত্তরাধিকার।

আমাদেরও অপূর্ণ থেকে গেল সেই সম্ভাব্য ইতিহাস দেখার সৌভাগ্য—যে ইতিহাসে তিনি হতেন বাংলাদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রমাতা, প্রেসিডেন্ট, জাতির অভিভাবক।

যদি আমাদের দুর্ভাগ্য হয় তাঁকে বিদায় জানানোর, তবে সেই বিদায় কোনো সাধারণ বিদায় হবে না।
ইতিহাসের বাতাসও সেদিন থমকে যাবে। ভবিষ্যতের তরুণেরা তাঁর জীবনগাথা পড়ে অনুভব করবে—একসময় বাংলাদেশে এক নারী এসেছিলেন মাতৃরূপে, যিনি জাতির বুক জুড়ে রেখে গেছেন নিরাপত্তা, দৃঢ়তা ও অটল সাহসের আশ্রয়।

তাঁর উপস্থিতি ছিল নক্ষত্রের মতো দীপ্তিময়।
তাঁর প্রস্থানও হবে নক্ষত্রের মতো—দীপ্তিতে আকাশ ভরিয়ে অনন্তের দিকে উড়াল।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ।