ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে ‘বাণিজ্যিক লেনদেন’—পিতা–পুত্র বিএনপি নেতার পদ স্থগিত, ফাঁস হওয়া চিঠিতে তোলপাড় পটুয়াখালী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে

জুলাই হত্যা মামলায় ‘বাণিজ্যিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার’ অভিযোগে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির দুই নেতার দলীয় পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। দীর্ঘদিন গোপন রাখা এই সিদ্ধান্তের চিঠি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় ওঠে।

দলীয় সূত্র জানায়, ২১ অক্টোবর জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফের পদ স্থগিত এবং সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মশিউর রহমানকে দলীয় পদসহ সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি এতদিন দলীয় পরিসরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টোটন জানান, জুলাই হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে মামলার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণসহ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যা দলের আদর্শ, নিয়ম-নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই তদন্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর তারা জবাব পাঠালেও তা সন্তোষজনক মনে করেনি কার্যনির্বাহী কমিটি। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত দুইজন পিতা–পুত্র। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশের খবর গণমাধ্যমে আসে। নিহত রায়হানের পরিবার অভিযোগ করে বলেছে—২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার মেরুল বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে রায়হান নিহত হওয়ার পর ন্যায়বিচারের লড়াই তারা চালিয়ে আসলেও মামলাকে ঘিরে বিভিন্ন পক্ষের টানাপোড়েন, রাজনৈতিক স্বার্থ ও অস্বচ্ছ অর্থ লেনদেন পুরো বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে।

রায়হানের বাবা কালাম হোসেন অভিযোগ করেন, মৃত্যুসনদ গ্রহণের সময় অ্যাডভোকেট মশিউর তার স্বাক্ষর নেন এবং পরে সেই কাগজের ভিত্তিতে একটি মামলা বানানো হয়, যেখানে নাম থাকা আসামিদের তিনি চেনেনও না। মামলাকে কেন্দ্র করে অর্থ লেনদেনের কথাও তার কানে আসে—যা তাকে হতবাক করে।

অভিযুক্ত দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয় দিবসে পতাকা হাতে প্যারাট্রুপিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ব রেকর্ড

জুলাই হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে ‘বাণিজ্যিক লেনদেন’—পিতা–পুত্র বিএনপি নেতার পদ স্থগিত, ফাঁস হওয়া চিঠিতে তোলপাড় পটুয়াখালী

আপডেট সময় ১০:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই হত্যা মামলায় ‘বাণিজ্যিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার’ অভিযোগে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির দুই নেতার দলীয় পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। দীর্ঘদিন গোপন রাখা এই সিদ্ধান্তের চিঠি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার ঝড় ওঠে।

দলীয় সূত্র জানায়, ২১ অক্টোবর জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফের পদ স্থগিত এবং সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মশিউর রহমানকে দলীয় পদসহ সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি এতদিন দলীয় পরিসরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টোটন জানান, জুলাই হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে মামলার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণসহ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যা দলের আদর্শ, নিয়ম-নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই তদন্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর তারা জবাব পাঠালেও তা সন্তোষজনক মনে করেনি কার্যনির্বাহী কমিটি। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত দুইজন পিতা–পুত্র। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশের খবর গণমাধ্যমে আসে। নিহত রায়হানের পরিবার অভিযোগ করে বলেছে—২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার মেরুল বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে রায়হান নিহত হওয়ার পর ন্যায়বিচারের লড়াই তারা চালিয়ে আসলেও মামলাকে ঘিরে বিভিন্ন পক্ষের টানাপোড়েন, রাজনৈতিক স্বার্থ ও অস্বচ্ছ অর্থ লেনদেন পুরো বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে।

রায়হানের বাবা কালাম হোসেন অভিযোগ করেন, মৃত্যুসনদ গ্রহণের সময় অ্যাডভোকেট মশিউর তার স্বাক্ষর নেন এবং পরে সেই কাগজের ভিত্তিতে একটি মামলা বানানো হয়, যেখানে নাম থাকা আসামিদের তিনি চেনেনও না। মামলাকে কেন্দ্র করে অর্থ লেনদেনের কথাও তার কানে আসে—যা তাকে হতবাক করে।

অভিযুক্ত দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।