ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশে দুই দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনে বিদেশ থেকে খেলা চলছে’: বিবিসিকে জয়

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, বাংলাদেশে বড় দুটি দলের—আওয়ামী লীগ ও বিএনপির—নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য বিদেশি শক্তির একটি তৎপরতা চলছে। বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটি গণতান্ত্রিক নয়। দলই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে, কোনো ব্যক্তি বা বিদেশি নির্দেশ দিতে পারবে না।’

সজীব জয় বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। দলের অনেক নেতা গ্রেপ্তার বা আত্মগোপনে থাকায় রাজনীতি স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ‘আমরা কোনো কর্মসূচি করতে পারি না, নির্বাচন তো দূরের কথা। তবে জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের সমর্থন এখনও বহাল রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, তার পরিবারে কেউ শেখ হাসিনার পরে দলীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করবে না। সকলেই মা শেখ হাসিনার সমর্থক। এছাড়া, তার বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্ব গ্রহণের সম্ভাবনা নেই।

জুলাই আন্দোলন ও পরে সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গে সজীব জয় বলেন, ‘অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত ও বিচার করা উচিত। তবে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি স্বতন্ত্রভাবে বিচার করতে হবে।’

সজীব ওয়াজেদ জয় বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্রের অধীনে, দল এবং জনগণ মিলিয়ে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। তিনি নিজে সরাসরি নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী নন, বরং দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও শান্তি রক্ষায় কাজ করতে চান।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন মাসুদের সহযোগী কবির আটক

‘বাংলাদেশে দুই দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনে বিদেশ থেকে খেলা চলছে’: বিবিসিকে জয়

আপডেট সময় ০৫:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, বাংলাদেশে বড় দুটি দলের—আওয়ামী লীগ ও বিএনপির—নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য বিদেশি শক্তির একটি তৎপরতা চলছে। বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটি গণতান্ত্রিক নয়। দলই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে, কোনো ব্যক্তি বা বিদেশি নির্দেশ দিতে পারবে না।’

সজীব জয় বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। দলের অনেক নেতা গ্রেপ্তার বা আত্মগোপনে থাকায় রাজনীতি স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ‘আমরা কোনো কর্মসূচি করতে পারি না, নির্বাচন তো দূরের কথা। তবে জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের সমর্থন এখনও বহাল রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, তার পরিবারে কেউ শেখ হাসিনার পরে দলীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করবে না। সকলেই মা শেখ হাসিনার সমর্থক। এছাড়া, তার বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্ব গ্রহণের সম্ভাবনা নেই।

জুলাই আন্দোলন ও পরে সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গে সজীব জয় বলেন, ‘অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত ও বিচার করা উচিত। তবে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি স্বতন্ত্রভাবে বিচার করতে হবে।’

সজীব ওয়াজেদ জয় বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্রের অধীনে, দল এবং জনগণ মিলিয়ে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। তিনি নিজে সরাসরি নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী নন, বরং দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও শান্তি রক্ষায় কাজ করতে চান।