ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত রোববার থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শনিবার সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে প্রথমে বিএনপি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় একই ভাষায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন—
“সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও আছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো সেটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত নয়। স্পর্শকাতর সেই বিষয় বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত।”
তিনি আরও লেখেন—
“রাজনৈতিক বাস্তবতার সেই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।”
তারেক রহমানের এই বক্তব্য ও খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারীরিক অবস্থা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এ পরিস্থিতিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চাপ’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন—
“ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর চাপে পড়েছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এই সময়ে তার দেশে ফেরা না ফেরা নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বিএনপি বা তারেক রহমানের নেই। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আপনজনের অনুপস্থিতি মানবজাতি কোনো কালেই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।”
তিনি আরও বলেন—
“বিএনপির রাজনীতির বাতিঘরের প্রধান প্রদীপটি যখন নিভে যাচ্ছে, তখন তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা এবং মেয়ে জাইমা কী করছেন তা নিয়ে দেশবাসীর মুখে খৈ ফুটছে। আর বিএনপির পদলোভীরা মুখে তালা লাগিয়ে শুধু দোয়া-দরূদ পড়ছেন—মনে মনে ভাবছেন, আল্লাহ না করুন, যদি খারাপ কিছু ঘটে তবে নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষের শব্দবোমা কীভাবে সামলাবেন!”




















