সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল—সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাসুদ পাইলট নাকি যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে। ২৮ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে দেখা যেতে পারে বলেও দাবি ছড়ায়। তবে এসবের কোনোটিরই বাস্তব ভিত্তি নেই বলে নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন পাইলট। তিনি স্পষ্টই বলেন, “আমি ক্রীড়াজগতের মানুষ। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই; এসব গুজব ভিত্তিহীন।”
গুজব খণ্ডন করলেও জামায়াতঘনিষ্ঠ বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যাওয়ায় বিষয়টি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাউফল উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে উপজেলা পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি প্রীতি ফুটবল খেলা’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন পাইলট ও ডাকসুর সাবেক জিএস এস এম ফরহাদ। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতার এক পর্যায়ে ড. মাসুদের প্রশংসায় মেতে ওঠেন পাইলট। তিনি বলেন—
“রাতে খেলাধুলা শেষে বাসায় এসে ফেসবুক–ইউটিউবে মাসুদ ভাইয়ের বক্তব্য দেখি। মনে হয় ঠিক যুবক বয়সে ফিরে গেছি। তার সত্য কথা, নিষ্ঠা, আইন নিয়ে কথা—সবকিছুই দারুণ লাগে। আমি দোয়া করি, তিনি দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন। আমার কাছে মনে হয়, মাসুদ ভাই শুধু বাউফলের না, তিনি গোটা বাংলাদেশের।”
তিনি আরও যোগ করেন—
“পুরো বাংলাদেশের মানুষ এখন তাকে ফলো করে। তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন দেশের জন্য, বাউফলের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন। আমাকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য উন্নয়ন ফোরামের সবাইকে ধন্যবাদ।”
বিসিবি পরিচালক পাইলট বরিশাল অঞ্চলের খেলাধুলার মাঠের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন—
“বরিশালের মাঠগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাসুদ ভাইদের মতো মানুষ সামনে এলে আমরা সবাই মিলে এই মাঠগুলোর উন্নয়ন করতে পারবো। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রেখে মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই।”
রাজনীতিতে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরও জামায়াতের একজন প্রার্থীকে নিয়ে এমন প্রশংসায় রাজনৈতিক মহলে নতুন প্রশ্ন উঠেছে—
পাইলট কি সত্যিই রাজনীতির বাইরে থাকছেন, নাকি সামনে আরও বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে?




















