বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে “নির্বাচিত সরকার ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের পথে সবচেয়ে বড় বাধা সৃষ্টি করেন যারা, তাদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ” হিসেবে মন্তব্য করেছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় এগোতে দিতে চান না বা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাদের কাছে তারেক রহমানই এখন সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।
রুমিনের মতে, তারেক রহমানকে শুধুই বিএনপির প্রধান হিসেবে দেখা ভুল হবে। বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারবেন কি না তার ওপর। তাই তার দেশে ফেরা এখন শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক গতিপথ এবং জনগণের ভবিষ্যতের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, যেকোনো নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। তারেক রহমান যদি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেন, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গ টেনে রুমিন প্রশ্ন তোলেন—সরকার কি সত্যিই গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায়? তিনি উল্লেখ করেন, আগে ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার কথা বলা হলেও পরে আবার তা ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিছিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদৌ হবে কি না—এ প্রশ্ন এখন সর্বত্র।
রুমিন বলেন, নির্বাচনের আগে সাধারণত যে রাজনৈতিক উত্তাপ দেখা যায়, বর্তমানে তার কোনো লক্ষণ নেই; বরং পরিস্থিতি সর্বত্র নিস্তেজ। কিছুদিন আগেও এনসিপি জোট, জামায়াতের হুঁশিয়ারি ও বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনকে সরব রেখেছিল। এখন পুরো পরিবেশ একেবারে ঠাণ্ডা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, অনেকেই মনে করছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা খুবই কম। তার ব্যক্তিগত মতও—নিকট ভবিষ্যতে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই।






















