জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় না থাকা সত্ত্বেও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন এবং প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “কোনো দেশপ্রেমিক দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ তারিখের পর আবির্ভূত হয়নি। যারা আবির্ভূত হয়েছিল, তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। এটি শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। এটি বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করা না হলে বিপ্লবী জনগণ, তরুণ জনতা, কোলে বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা মায়েরা আমাদের ক্ষমা করবেন না।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী দুর্নীতি অব্যাহত রেখে ছলে-বলে নির্বাচন প্রভাবিত করতে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতি শুদ্ধ বার্তা দেবে।
ডা. শফিকুর রহমান সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী বাবরী চত্বরে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম।
জামায়াতের আমির বলেন, কিছু দল ও ব্যক্তি বাংলাদেশকে বারবার দুর্নীতির দফায় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্ব দরবারে অপমানিত করেছে। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের বিপ্লব সন্ত্রাস, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর থেকেই একটি গোষ্ঠী জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজ চাঁদাবাজদের দৌরাত্ন্যে সমাজ অতিষ্ঠ, ব্যবসায়ীরা শান্তিতে নেই।”
ডা. শফিকুর রহমান আরও সতর্ক করেন, “দিশাহারা হয়ে কেউ যদি চোরা গলিতে হাটার চিন্তা করে, প্রয়োজনে আবার ৫ আগস্টের মতো বিপ্লব হতে পারে—ইনশাআল্লাহ।”




















