পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ নির্মাণকে ঘিরে অনুদানের ঢল নেমে তৈরি হয়েছে রীতিমতো নগদের পাহাড়। ট্রাঙ্কভর্তি রুপি এনে ঘরের মাঝে ঢালা হচ্ছে, আর চারপাশে বসে থাকা কর্মীরা একটানা গুণে চলেছেন সেই বিপুল অর্থ। নগদ গোনার জন্য আনা হয়েছে আধুনিক মানি কাউন্টিং মেশিন, আর নিরাপত্তার জন্য পুরো প্রক্রিয়া চলছে সিসিটিভির কড়া নজরদারিতে।
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। অনুদান হিসেবে এসেছে ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি রুপি, এবং এগুলো গোনার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ৩০ জন কর্মী। রাত ১২টার পরও অর্থ গোনা অব্যাহত থাকে। তখন পর্যন্ত খোলা ৭টি ট্রাঙ্ক থেকে পাওয়া যায় ৩৭ লাখ রুপি। এই অনুদান জমা পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া’র অধীনে।
হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের দিনই শুধু কিউআর কোড স্ক্যান করে জমা পড়েছে ৯৩ লাখ টাকা। পাশাপাশি দুই দিনেই দান হিসেবে এসেছে প্রায় ১৫ লাখ ইট। তিনি বলেন, “মসজিদ নির্মাণ শুরু হওয়ার আগেই মানুষের ভালোবাসা যে কতটা প্রবল, তা এই বিপুল অনুদানই প্রমাণ করছে।”
এর আগে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন ৬ ডিসেম্বর তিনি নিজ হাতে ইট নিয়ে শিলান্যাস করেন। তার হিসাবে, পুরো মসজিদ নির্মাণে লাগবে প্রায় ৩০০ কোটি রুপি। তবে অর্থের সংকট নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই হুমায়ুনের। কারণ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি একাই ৮০ কোটি রুপি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তার দাবি।
মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বীরভূম ও মালদহ থেকেও বাবরি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব এসেছে বলে জানান হুমায়ুন। স্থানীয়দের কিছু অংশ এই স্বচ্ছ অনুদান গণনা প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানালেও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন— এই বিপুল অর্থের উৎস, হিসাব ও আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।


























