ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা চরমে; বাড়ছে দিনমজুরদের দুর্ভোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১২ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। টানা চার দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই হিমেল বাতাসে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, সবচেয়ে বেশি ভুগছেন দিনমজুর ও শ্রমজীবী শ্রেণি। ভোরের তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে-ঘাটে কাজ খুঁজতে বের হওয়াই এখন তাদের জন্য বড় কষ্ট।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগের দিন সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। যদিও আজ ঘন কুয়াশা নেই, ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা গেছে। বেলা বাড়লেও রোদের তাপে তেমন উষ্ণতা পাওয়া যায়নি।

গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার আগের দিন ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। রাস্তার ধারে, বাড়ির সামনে কিংবা চায়ের দোকানের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

হাড়িভাসা এলাকার দিনমজুর রমজান আলী বলেন, “ভোরে কাজে বের হতে গেলেই হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কাজে মন বসে না।”
ভ্যানচালক জাহিদুল হক বলেন, “সকালে কুয়াশার ভেতর রিকশা চালাইতে খুব কষ্ট হয়। ভাড়া পাই কম, শীতে গা-হাত জমে যায়।”

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন ঠান্ডা পড়ায় সামনে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা চরমে; বাড়ছে দিনমজুরদের দুর্ভোগ

আপডেট সময় ১০:৩৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। টানা চার দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই হিমেল বাতাসে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, সবচেয়ে বেশি ভুগছেন দিনমজুর ও শ্রমজীবী শ্রেণি। ভোরের তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে-ঘাটে কাজ খুঁজতে বের হওয়াই এখন তাদের জন্য বড় কষ্ট।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগের দিন সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। যদিও আজ ঘন কুয়াশা নেই, ভোরে হালকা কুয়াশা দেখা গেছে। বেলা বাড়লেও রোদের তাপে তেমন উষ্ণতা পাওয়া যায়নি।

গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার আগের দিন ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। রাস্তার ধারে, বাড়ির সামনে কিংবা চায়ের দোকানের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

হাড়িভাসা এলাকার দিনমজুর রমজান আলী বলেন, “ভোরে কাজে বের হতে গেলেই হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কাজে মন বসে না।”
ভ্যানচালক জাহিদুল হক বলেন, “সকালে কুয়াশার ভেতর রিকশা চালাইতে খুব কষ্ট হয়। ভাড়া পাই কম, শীতে গা-হাত জমে যায়।”

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন ঠান্ডা পড়ায় সামনে শৈত্যপ্রবাহ আরও জোরদার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।