ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অস্ত্রোপচার শেষে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ঢামেকের জরুরি বিভাগে শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ রায়হান। অস্ত্রোপচার শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের দিনের একটি ছবি পোস্ট করেন ডা. জাহিদ রায়হান। ছবিতে শরিফ ওসমান হাদি এবং শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধকে দেখা যায়। ছবির ক্যাপশনে আবেগ প্রকাশ করে তিনি লেখেন—
“কে জানতো আজকে তাঁকে (হাদি) বাঁচানোর চেষ্টায় ছুরি হাতে আমাকে ওটিতে দাঁড়াতে হবে?”
স্ট্যাটাসে ডা. জাহিদ রায়হান আরও লেখেন—
“১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের দিন ওসমান হাদি আর মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধর সাথে আমি।
হে আল্লাহ! ওসমান হাদির জন্য যা ভালো, তুমি তাই কর।”
এর আগে হাদি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি থাকাকালে ডা. জাহিদ রায়হান জানিয়েছিলেন, তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তিনি বলেন, “কন্ডিশন খুবই খারাপ। ক্রিটিক্যাল বলতে যা বোঝায়, ঠিক তাই।”
হাসপাতালে আনার পরও হাদির ‘সাইন অফ লাইফ’ বা জীবিত থাকার লক্ষণ ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, অপারেশন চলাকালীন সময়েও এনেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তার নিজস্ব শ্বাসপ্রশ্বাসের শক্তি ছিল।
ডা. জাহিদ রায়হান আরও জানান, অস্ত্রোপচারের সময় হাদির দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। নাক ও মুখ দিয়েও রক্তপাত শুরু হয়।
তিনি বলেন, “আমরা কোনো আশার কথা বলব না। তবে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।”
উন্নত আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন হওয়ায় পরিবারের সিদ্ধান্তে শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
























