ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্লাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। একই সঙ্গে প্রয়োজনে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনটি স্পষ্ট করে বলেছে, হামলাকারীরা ‘কোনোভাবে মারা গেছে’—এমন কোনো খবর যেন শোনা না যায়।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ওসমান হাদির বিষয়ে তিনি নিজে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা কথা বলবেন। অন্য কারও বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “এখন সরকারের সুন্দর সুন্দর কথা বলার অধিকার নেই। যে সরকার ওসমান হাদিকে রক্ষা করতে পারে না, সে সরকার দেশকে রক্ষা করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব না হলে ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে হবে; প্রয়োজনে চার্টার্ড বিমানে নেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে। “বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হাদি প্রয়োজন,” যোগ করেন তিনি।
তিনি ঘোষণা দেন, আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জাবের বলেন, “হাদি দেশ ছেড়ে যাননি, দেশের স্বার্থ ছেড়ে ঘরে বসে থাকেননি। আমরাও হাদির বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।”
চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওসমান হাদির চিকিৎসা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো উসকানিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাবে না। ইনকিলাব মঞ্চ কোনো গোপন সিদ্ধান্ত নেবে না; প্রয়োজন হলে সরাসরি ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
হামলাকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, “কে গুলি করেছে—আমরা কাউকে অকারণে সন্দেহ করছি না, আবার কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখছি না।” তার ভাষ্য অনুযায়ী, ভোটের রাজনীতিতে যারা ওসমান হাদিকে প্রতিপক্ষ মনে করে, তারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আবার পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ অবস্থানের কারণেও এ হামলা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শেষে তিনি বলেন, “তারা ভাবতে পারে, হাদিকে সরিয়ে দিলে তারা দেশে ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু আমরা বলি—ওসমান হাদি ঘরে ঘরে তৈরি হয়ে গেছে।” আল্লাহর কাছে হাদির সুস্থতা কামনা করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সুস্থ হয়ে ফিরে এসে তিনি নির্বাচিত হয়ে সংসদে জনগণের প্রতিনিধি হবেন।




















