ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর শুক্রবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটে বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় সংঘটিত গুলিবর্ষণে মূল অভিযুক্ত হিসেবে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল করিম মাসুদ, যাকে দাউদ খান নামেও জানা যায়।
দ্য ডিসেন্টের অনুসন্ধানে, ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ফটো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাইকের পেছন থেকে হাদিকে গুলি করা ব্যক্তির চেহারা ফয়সাল করিম মাসুদের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। বিশেষভাবে লক্ষ্যযোগ্য হলো, হামলাকারীর বাম হাতে থাকা বিশেষ ডিজাইনের ঘড়ি ফয়সালের সোশ্যাল মিডিয়া ছবিতেও দেখা গেছে।
ফয়সাল করিম মাসুদ ঢাকা মহানগর উত্তর ও আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে তিনি অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি জব্দ হয়েছিল।
হামলার সময় ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসকরা জানান, গুলি বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বের হওয়ায় তার ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে হাদি এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা মোট তিনটি মোটরসাইকেলে আসে।
ওসমান হাদি এর আগেই হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করতেন এবং সরাসরি আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিদেশি নাম্বার থেকে তার এবং তার পরিবারের প্রতি বারবার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে, তবে তিনি আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাবেন না।




















