ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৪ বার পড়া হয়েছে

 

জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার সকালে গ্রেপ্তারের পর তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫।

হাদির ওপর কাপুরুষোচিত এই হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের হামলার ঝুঁকি থাকতে পারে। ঘটনার আদ্যোপান্ত উদ্ঘাটনে শনিবার দিনভর মাঠে কাজ করেছে পুলিশ।

ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হাদির ওপর হামলায় দেশবিরোধী শক্তির মদত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজন, আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহ, হাদির হামলার সঙ্গে পতিত স্বৈরাচারের দল হিসেবে চিহ্নিত ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট জড়িত থাকতে পারেন। জুলাই বিপ্লবের পর তিনি ভারতে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ফয়সাল করিম মাসুদ নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে শনাক্ত করা হলেও, রোববার রাত পর্যন্ত গুলিবর্ষণে সরাসরি অংশ নেওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

খুনি দুজন যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য দেশের সব বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দল, গোষ্ঠী ও নেতাদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করতেই এই হামলা চালানো হয়। এতে চক্রটি সাময়িকভাবে কিছুটা সফল হলেও, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে ঢাকাসহ সারাদেশে রেকি ও তল্লাশি জোরদার করা হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত থাকা সন্ত্রাসীদের আলাদা তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে পল্টন থানার এসআই রকিবুল হাসান জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ওসমান হাদিকে গুলি, গ্রেপ্তার আরও ২

হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১০:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

 

জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার সকালে গ্রেপ্তারের পর তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫।

হাদির ওপর কাপুরুষোচিত এই হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের হামলার ঝুঁকি থাকতে পারে। ঘটনার আদ্যোপান্ত উদ্ঘাটনে শনিবার দিনভর মাঠে কাজ করেছে পুলিশ।

ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হাদির ওপর হামলায় দেশবিরোধী শক্তির মদত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজন, আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহ, হাদির হামলার সঙ্গে পতিত স্বৈরাচারের দল হিসেবে চিহ্নিত ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট জড়িত থাকতে পারেন। জুলাই বিপ্লবের পর তিনি ভারতে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ফয়সাল করিম মাসুদ নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে শনাক্ত করা হলেও, রোববার রাত পর্যন্ত গুলিবর্ষণে সরাসরি অংশ নেওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

খুনি দুজন যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য দেশের সব বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দল, গোষ্ঠী ও নেতাদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করতেই এই হামলা চালানো হয়। এতে চক্রটি সাময়িকভাবে কিছুটা সফল হলেও, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে ঢাকাসহ সারাদেশে রেকি ও তল্লাশি জোরদার করা হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত থাকা সন্ত্রাসীদের আলাদা তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে পল্টন থানার এসআই রকিবুল হাসান জানান, মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।